দোহা : কোচের আস্থার মর্যাদা রাখলেন তিনি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) পরিবর্ত হিসেবে নেমে মাঠে কার্যত ঝড় তুললেন নতুন পর্তুগিজ তারকা গনসালো রামোস (Goncalo Ramos)। স্যুইৎজারল্যান্ড-বধে হ্যাটট্রিক করলেন ২১-এর এই তরুণ। তাঁর পায়ের জাদুতে ভর করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল পর্তুগাল। ৬-১ ব্যবধানে স্যুইৎজারল্যান্ডকে হারাল তারা।


রামোসের ৩-


পাঁচ পাঁচটি বিশ্বকাপে তাঁকে ছাড়া পর্তুগাল দলের কথা ভাবাই যায়নি। সম্ভবত এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে। তাই, এবারের বিশ্বকাপের সঙ্গে আলাদ আবেগ জড়িয়ে রোনাল্ডোর। কিন্তু, প্রয়োজনে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হলেন না পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এহেন তারকাকে বসিয়ে কার্যত ঝুঁকি নিলেন । মাঠে নামালেন ২১ বছরের রামোসকে। এর আগে তিনটি ম্যাচে পর্তুগালের হয়ে মাঠে নেমে সর্বসাকুল্যে মোট ৩৩ মিনিট খেলেছেন। কিন্তু, এবারই পূর্ণমাত্রায় অভিষেক হল রামোসের।


আর সুযোগ পেয়েই নিজেকে উজার করে দিলেন রামোস। পেলের পর কোনও নক-আউট ম্যাচে সবথেকে ছোট খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন। তিনি ছাড়াও পর্তুগালের হয়ে প্রতিপক্ষের জালে বল ঢোকালেন পেপে, রাফায়েল গুয়েরিরো ও রাফাল লিও। তবে, আগাগোড়া নজর কাড়লেন ২১-এর রামসো। কাড়বে না-ই বা কেন। যখন সুযোগ পেলেন, তার প্রায় সিংহভাগই কাজে লাগালেন পর্তুগালের উদীয়মান এই তারকা। 


মাত্র ১৭ মিনিটের মাথাতেই স্যুইজারল্যান্ডের গোলকিপারকে অবাক করে দিয়ে জালে বল ঢুকিয়ে দেন রামোস। তখনই কোচ সান্তোসের চোখেমুখে ফুটে ওঠে আত্মবিশ্বাসের ঝলক। তিনি যে ভুল সিদ্ধান্ত নেননি, তা যেন তাঁর চোখমুখে ফুটে উঠছিল। কারণ, রামোস এমন একটা কাজ করলেন, যা বহু সাফল্যের মালিক রোনাল্ডোর কাছে অধরা। কী সেই সাফল্য ? কোনও বিশ্বকাপ নক-আউট ম্যাচে গোল করা। 


সেকেন্ড হাফের শুরুতেই ফের রামোস-ঝড়। ছয় মিনিটের মধ্যেই আরও একটি গোল। কিছুক্ষণ পরে আরও একটি গোল। এরপর কিছুক্ষণের জন্য মাঠে নামতে দেখা যায় রোনাল্ডোকে। মাঠে নেমে প্রতিপক্ষের জালে বলও ঢোকান তিনি। কিন্তু, অফসাইড থাকায় তা বাতিল হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ১১৮টি গোলের মালিক রোনাল্ডোই ছিলেন এই ম্যাচের আগে ও পরে সবথেকে চর্চিত বিষয় । কিন্তু, রামসোরে মতো তরুণের উত্থানের পর আগামী ম্যাচগুলিতে পর্তুগাল একাদশে তাঁর ঠাঁই হয় কি না, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা রোনাল্ডো অগণিত ভক্ত।