প্রভিডেন্স (গুয়ানা): পাকস্থলীর পেশীতে তীব্র টান। এভাবে অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে অন্য কোনও সাধারণ ক্রিকেটার হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়াটাই নিরাপদ বোধ করতেন। কিন্তু হরমনপ্রীত কউর অন্যরকম ভেবেছিলেন। ভারতের মহিলা দলের এই ক্রিকেটার যন্ত্রণা নিয়ে যাতে বেশি ছুটতে না হয়, সেজন্য বড় শট খেলার দিকেই মন দিলেন। আর এভাবেই আইসিসি টি ২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ৫১ বলে ১০৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন হরমনপ্রিত। আর ভারত নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতল ৩৪ রানে।
শুক্রবারের ম্যাচের পর হরমনপ্রিত বললেন, গতকালই পিঠে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। সকালে খুব একটা সুস্থ ছিলাম না। মাঠে আসার সময়ও স্বচ্ছন্দ ছিলাম না। পেশীতে টান লাগছিল।
রানের জন্য দৌড়নোর সময় পেশীর টানের জন্য তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছিল। এজন্য অন্যরকম পরিকল্পনা করলেন হরমনপ্রিত।
ভারতীয় দলের অধিনায়ক বলেছেন, প্রথম প্রথম দুই রানের জন্য দৌড়নো কষ্টকর হয়ে উঠছিল। ফিজিও এসে ওষুধ দেওয়ার পর সমস্যাটা কিছুটা কাটে। তারপর বেশি দৌড়ের পরিবর্তে আরও বেশি বড় শট খেলার কথা ভাবি। কারণ, বেশি দৌড়লে সমস্যাটা চাগাড় দিয়ে উঠবে..। তখন আমি জেমি (জেমিমা রডরিগস)-কে বলি, তুমি আমাকে স্ট্রাইক দিলে আমি বড় শট খেলব।
গত বছর একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হরমনপ্রিতের ১৭১ রানের ইনিংস এখনও সমর্থকদের স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। দেশের হয়ে প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে যে টি ২০ তে সেঞ্চুরি করেছেন, তা অবশ্য ব্যাটিংয়ের সময় বুঝতে পারেননি তিনি।



হরমনপ্রিত বলেছেন, আমি কত রান পাচ্ছি, সেদিকে খেয়াল রাখিনি। দেখছিলাম, ম্যাচ জিততে আমাদের কত রান প্রয়োজন।
তিনি বলেছেন, আমরা জানি যে ওরা খুব ভালো ব্যাট করতে পারে। ওদের দলে সোফি ডেভাইন ও সুজি বেটসের মতো খেলোয়াড় রয়েছে। তাই জানতাম, আমরা দেড়শ করলে ওরা জিতে যাবে।
হরমনপ্রিত বলেছেন, ব্যাটিংয়ের একেবারে আদর্শ পিচ ছিল। সেট হয়ে গেলে বড় রান করা সম্ভব। সেজন্য, উইকেটে থিতু হলে রান পাব বলে ভেবেছিলাম।