মুম্বই: দেশের এক নম্বর টেনিস তারকা। কিন্তু তিনিই নাকি ভুগছেন অর্থাভাবে। হ্যাঁ, নিজের মুখেই এমন কথা জানিয়েছেন দেশের এক নম্বর টেনিস তারকা সুমিত নাগাল (Sumit Nagal)। পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাগাল জানিয়েছে যে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ৮০ হাজার টাকা। গোটা মরসুমে এটিপি ট্যুর (ATP Tour) করতে গিয়ে প্রায় কোটি টাকার মত খরচ হয়ে গিয়েছে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকার। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাগাল বলেন, ''এই বছরের শুরুতে যে টাকা আমার ব্যাঙ্কে ছিল, এখন সেটাই পড়ে আছে। সেটা ওই ৮০ হাজার টাকা মতো। মহা টেনিস ফাউন্ডেশন আমাকে সাহায্য করে। চাকরি করি যে সংস্থায়, সেখান থেকে প্রতি মাসে আয় করি। কিন্তু কোনও স্পনসর নেই আমার।''


জার্মানিতে নানশেল অ্য়াকাডেমিতে অনুশীলন করেন নাগাল। সোমদেব দেববর্মণ এবং ক্রিস্টোফার মারকুইস  কিছুদিন তাঁকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছিলেন বলে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে অনুশীলন সেরেছিলেন এই টেনিস তারকা। কিন্তু এটিপি ট্যুরে গিয়ে খেলা এবং থাকার জন্য খরচ করতে গিয়ে নাগাল তাঁর পুরস্কারের সব অর্থ খরচ করে ফেলেছেন। নাগাল বলছেন, ''যা আয় করি, তার পুরোটাই খরচ হয়ে যায়। এক জন কোচ নিয়ে গোটা বছর এটিপি ট্যুর করতে আমার ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা খরচ হয়। ফিজিও নিলে সেটার খরচ আলদা। দেশের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় হয়েও খুব বেশি সাহায্য পাই না। আমিই দেশের এক মাত্র সিঙ্গলস খেলোয়াড় যে গ্র্যান্ড স্ল্যামে সুযোগ পাই। কিন্তু কেন্দ্রের থেকে কোনও সাহায্য পাই না আমি।'' উল্লেখ্য, চলতি বছরে ২৪টি প্রতিযোগিতায় খেলেছেন নাগাল। সেখান থেকে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি। ইউএস ওপেনের যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রথম রাউন্ডে হেরেও ১৮ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন তিনি। তবে দেশের বাইরে অনুশীলন থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচ বহন করতে গিয়ে পুরোটাই শেষ। নাগাল নিজেও জানেন না তাঁর ভবিষ্যৎ। 


নাদালের চোখে জকোভিচই সেরা


রাফায়েল নাদাল বিশ্বের সেরা টেনিস প্লেয়ার বলছেন নোভাক জকোভিচকেই। এক সাক্ষাৎকারে স্প্যানিস টেনিস মায়েস্ত্রো বলেন, ''সংখ্যা ও পরিসংখ্যানে আমি বিশ্বাস করি। এই হিসেবে জকোভিচ আমার থেকে এগিয়ে রয়েছে। ওই সেরা। এটাই সত্যি। বাকিটা আপেক্ষিক। আপনার ভাল লাগতে পারে, নাও পারে। কাউকে পছন্দ করতে পারেন, নাও পারেন। খেতাবের সংখ্যা দেখলে জকোভিচ-ই সেরা। এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই।'' নাদাল আরও বলেন, ''সব থেকে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে না পারলে জোকোভিচ হয়তো হতাশ হবে। কারণ ও সব কিছুই নিখুঁত ভাবে করতে চায়। সে জন্যই ও সেরা। সব থেকে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে না পারলে আমি একটুও হতাশ হব না। বিশ্বাস করি, আমার পক্ষে যতটা করা সম্ভব ছিল, ততটাই করেছি। যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।''