নয়াদিল্লি: চোট-আঘাত কেরিয়ারে বারবার ভুগিয়েছে তাঁকে। তবে তিনি বারবার ফিরে এসেছে। আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে (Test Cricket)  ১৯৯৯ সালে অভিষেক হলেও মাত্র ১৭ টেস্টই খেলতে পেরেছিলেন আশিস নেহরা (Ashish Nehra)। তবে সু্যোগ ছিল তাঁর কাছে। বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)  টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে বলেছিলেন প্রাক্তন বাঁহাতি পেসারকে। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন নেহরা। আর তার জন্যই এখনও আফশোস হয় তাঁর। সে কথাই জানালেন নেহরা।


এক সাক্ষাৎকারে নেহরা জানিয়েছেন, "২০০৫-২০০৯ সময়কালে আমি ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম। যখন আমি ফিরে আসি, তখন অনেক কিছুই বদলে গিয়েছিল। ধোনি ভারতীয় দলের অধিনায়ক তখন। এমনটা না যে ওর সঙ্গে আমার কথাবার্তা হত না। ও আমাকে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার জন্য বলেছিল ২০০৯ সালে। কিন্তু আমি ওর প্রস্তাব নাকচ করে দিই।"


১৯৯৯-২০০৪ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেট খেলেছিলেন নেহরা। এছাড়া ২০০১-২০১৭ পর্যন্ত মোট ১২০টি ওয়ান ডে ও ২৭টি টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এই বাঁহাতি পেসার। নিজের কেরিয়ারে ৯০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন নেহরা। ২০১১ সালে ধোনির নেতৃত্বাধীন যে টিম ইন্ডিয়া বিশ্বকাপ জিতেছিল সেই দলেরও সদস্য ছিলেন নেহরা। উল্লেখ্য, চোটের জন্য নিজের কেরিয়ারের দীর্ঘ ৮-৯ বছর ঠিকভাবে খেলতেই পারেননি নেহরা। 


বিসিসিআইয়ের তরফে আশিস নেহরাকে (Ashish Nehra) ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। গুজরাত টাইটান্সের প্রধান কোচের ভূমিকায় অল্প সময়েই বেশ প্রভাবিত করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ফাস্ট বোলার। তাঁর কোচিংয়ে প্রথম বছরেই খেতাব জিতে নেয় গুজরাত টাইটান্স। এই বছর তাঁরা অল্পের জন্য খেতাব হাতছাড়া করে। ফাইনালে হারতে হয় টাইটান্সদের। এই দুর্দান্ত রেকর্ডের ফলেই সম্ভবত বিসিসিআই নেহরাকে ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। 


সব ফর্ম্যাটের জন্য নয়, নেহরাকে কেবল টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটেই ভারতকে কোচিং করানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপরেই দ্রাবিড়কে সব ফর্ম্যাটের কোচ হিসাবেই ফের একবার দায়িত্ব দেওয়া হয়। 


বিশ্বকাপ ফাইনালে হারলেও দ্রাবিড়ের গত ২ বছরের কোচিং অভিজ্ঞতা ও দলে তাঁর উপস্থিতির যে ইতিবাচক ফল পাওয়া গিয়েছে, তাতে বোর্ড বেশ সন্তুষ্ট। তাই অন্ততপক্ষে টি-টােয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দ্রাবিড়কেই কোচ রাখার পক্ষে বোর্ড।