ওমান: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে গেল ওমানের। বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে গেল তাঁরা। অন্যদিকে ওমানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে পৌঁছে গেল স্কটল্যান্ড। গ্রুপ পর্বে এই নিয়ে পরপর ২ ম্যাচে ২টিতেই জিতে মূলপর্বে চলে গেল স্কটল্যান্ড। 


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ওমান। ২০ ওভারে ১২২ রান বোর্ডে তুলতে পারে ওমান। মাত্র ৩ জন বাদ দিয়ে কেউই ২ অঙ্কের ঘোরে পৌঁছোতে পারেননি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় স্কটল্যান্ড। ১৭ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১২৩ রান তুলে নেয় স্কটল্যান্ড। তাঁদের অধিনায়ক কেইল কোয়ের্টযার ২৮ বলের ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ২টো বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। লোয়ার অর্ডারে ২১ বলে ৩১ রান করেন রিচি বেরিংটন। ১টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। মূলত এই ২ জনের ব্যাটিংয়েই জয়ের পথ সহজ হয়ে যায় স্কটল্যান্ডের। 


পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয় পেয়ে বিশ্বকাপের মূলপর্বে চলে গেল বাংলাদেশ। ৮৪ রানে জয় পেল শাকিব আল হাসানরা। যোগ্যতা অর্জন পর্বে প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারলেও পরের ২ ম্যাচে পরপর জিতে টুর্নামেন্টের মূলপর্বে পৌঁছে গেল টাইগাররা। 


এদিন প্রথমে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। ওপেনিংয়ে নেমে নইম খাতা খুলতে না পারলেও ২৯ রান করেন লিটন দাস। এদিন ব্যাট হাতে রানে ফেরেন শাকিব আল হাসান। ৩৭ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। নিজের ইনিংসে ৩টি ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার। মুশফিকুর রহিম রান না পেলেও এদিন অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি ৩টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৫০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৮১ রান তুলে নেয় বাংলাদেশ। 


জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুর থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে পাপুয়া নিউ গিনি। লোয়ার অর্ডারে কিপলিন ডোরিগা ছাড়া কেউই দু অঙ্কের ঘোরে পৌঁছোতে পারেননি। পাপুয়া নিউ গিনির ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৯,৩ বলে মাত্র ৯৭ রানে।