অ্যাডিলেড: তিন বছর আগেও তিনি ছিলেন শেষ পর্যন্ত। এদিনও শেষ পর্যন্ত তিনিই থাকলেন। শুধু থাকলেন না। দলকে ফের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করলেন। সেদিন পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে তো আজ কুড়ির বিশ্বকাপে। আরও একবার বিশ্বসেরা ইংল্যান্ড। ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল ইংল্যান্ড। ২০১০ সালে পল কলিংউডের নেতৃত্বে প্রথমবার কুড়ির ফর্ম্যাটে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। এবার জস বাটলারের নেতৃত্বে ট্রফি জিতল ব্রিটিশ ব্রিগেড।


স্টোকসের মরিয়া লড়াই, ইংল্যান্ডের জয়


অল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা। কিন্তু পাকিস্তানের ঘাতক বোলিং লাইন আপের জন্য কিছুটা চিন্তা ছিলই। শুরুতেই অ্যালেক্স হেলসকে বোল্ড করে ইংল্যান্ড শিবিরে চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শাহিন আফ্রিদিও। কিন্তু এরপর থেকে ধীরে ধীরে ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ড সচল রাখার চেষ্টা রাখেন বাটলার। প্রথমে সল্ট ও পরে স্টোকসকে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান রানের গতি। বাটলার নিজে ২৬ রানে ফিরে যান। ১৭ বলের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। এরপর সল্টের সঙ্গে জুটি বাঁধেন স্টোকস। সল্ট ফিরে গেলে প্রথমে ব্রুক ও পরে মঈন আলি সঙ্গ দেন স্টোকসের। তবে মাঝের ওভার গুলোয় খেলা জমিয়ে দিয়েছিলেন নাসিম শাহ ও হ্যারিস রউফরা। চোটের জন্য শাহিন আফ্রিদি তাঁর কোটার পুরো ওভার করতে পারেননি। যার খেসারত দিতে হল পাকিস্তান দলকেও। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে টিকে থেকে ৪৯ বলে অপরাজিত ৫২ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন স্টোকস। নিজের ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি।  ১ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় ইংল্যান্ড। 


এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন স্যাম কারান (Sam Curran)। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই মাত্র ১৫ রানে রিজওয়ানকে ফেরান তিনি। ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। তিনে নামা মহম্মদ হ্যারিসের ব্যাটও এদিন চলেনি। তিনিও আট রানেই সাজঘরে ফেরেন। তবে ৫০ রানের গণ্ডি পার করার আগেই দুই উইকেট হারালেও, দলের হাল ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম ও শান মাসুদ। দুইজনে মিলে তৃতীয় উইকেটে ৩৯ রান যোগ করেন। সেট বাবরকে ৩২ রানে সাজঘরে ফেরান আদিল রশিদ।


ব্যাট হাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ইফতিকার আমেদও। শূন্য রানে তিনি সাজঘরে ফেরেন। পাকিস্তান দলের হয়ে লড়াই করছিলেন শান মাসুদ। তিনি ৩৮ রান করেন। কিন্তু শেষের দিকে রানের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে বড় শট মারতে গিয়েই নিজের উইকেট হারান শানও। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি তুলে নেন কারান। শাদাব খানও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। নিরন্তর ব্যবধানে উইকেট হারিয় পাকিস্তান শেষের ওভারগুলিতে রানের গতিই বাড়াতে পারেনি।


শেষমেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটের বিনিময়ে ১৩৭ রানেই থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে কারানই সর্বাধিক তিন উইকেট নেন। নিজের নির্ধারিত চার ওভারে মাত্র ১২ রান খরচ করেন কারান। রশিদ ও ক্রিস জর্ডান দুইটি করে উইকেট নেন।