ত্রিনিদাদ: অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে বিশাল উগান্ডার বিরুদ্ধে ৩২৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় দল। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বিশাল জয় ছিনিয়ে পরের রাউন্ডে চলে গেল ভারতীয় দল। এই জয় যুব দলের ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০০৪ সালে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুব ভারতীয় দল ২৭০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। এদিন ভারতের জয়ের অন্যতম কারিগর রাজ ও বাওয়া ও অঙ্গরিশ রঘুবংশী। ২ জনেই সেঞ্চুরি হাঁকান। বল হাতে ৪ উইকেট তুলে নেন নিশান্ত সিন্ধু। প্রথমে ব্যাট করে ভারতীয় দল পাহাড়প্রমাণ ৪০৫ রান বোর্ডে যোগ করে নেয়। এরপর ব্যাট করতে নেমে উগান্ডার ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ৭৯ রানে।
এদিন হরনূর সিংহ পান্নু রান পাননি। তিনি পাওয়ার প্লের আগেই আউট হয়ে ফিরে যান। তবে রানের গতি কমেনি। প্রথম দশ ওভারের মধ্যেই ৫০ এর গণ্ডি পেরিয়ে যায় ভারতীয় দল। ভারতীয় দল খুব তাড়াতাড়ি হারিয়েছিল স্ট্যান্ড ইন ক্যাপ্টনে নিশান্ত সিন্ধুকেও। কিন্তু এরপরই খেলার হাল ধরেন অঙ্গরিশ রঘুবংশী ও রাজ বাওয়া। প্রথম জনের বয়স মাত্র ১৬। কিন্তু এই বয়সেই যুব বিশ্বকাপের মঞ্চে ১৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দিলেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন রাজ বাওয়াও। তিনি ছাপিয়ে যান অঙ্গরিশকে। ১৬২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ভেঙ্গে দেন শিখর ধবনের ২০০৪ সালে করা রেকর্ড। মূলত তাঁদের ব্যাটিং বিক্রমেই ভারতের স্কোর চারশোর গণ্ডি পেরিয়ে যায়। ২ জনে মিলে বোর্ডে ২০৬ রানের পার্টনারশিপও গড়েন। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ৪০৫ রান তুলে নেয় ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে উগান্ডার ব্যাটাররা ধারাবাহিকভাবে। ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বিপক্ষ দলের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া নিশান্ত সিন্ধু। উল্লেখ্য, এর আগে আয়ারল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুটো ম্যাচেই জয় হাসিল করে নিয়েছে ভারতীয় দল।