দুবাই: অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একাদশে ভারতের ৩ ক্রিকেটার। সুযোগ পেয়েছেন শ্বেতা সেহরাওয়াত, শেফালি ভার্মা, পার্শ্বাভী চোপড়া। আইসিসি সদ্য শেষ হওয়া টুর্নামেন্টের প্রতিটি দল থেকে সেরা প্লেয়ারদের বেছে নিয়ে সেরা একাদশ তৈরি করেছে। সেই দলেই রয়েছে এই তিন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার। 


গোটা টুর্নামেন্টেই বিধ্বংসী ব্য়াটিং করেছেন শেফালি। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শেফালি। সেই ইনিংসে ১২টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ১৭২ রান করে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রাহক হয়েছেন শেফালি। ৭ ম্যাচে মোট ৪ উইকেটও নিয়েছেন। 


অন্যদিকে দলে শেফালির ডেপুটি শ্বেতা সেহরাওয়াত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৯২ রান করেছিলেন। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন শেফালি। টুর্নামেন্টের সর্বাধিক রান সংগ্রাহক শ্বেতার ঝুলিতে রয়েছে মোট ২৯৭ রান।


পার্শ্বভী ভারতের প্রথম তিনটি ম্যাচে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে নিজের সেরা ফর্মে ফিরে আসেন। শেষ পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট ঝুলিতে পুরে নেন তিনি। 


টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের ক্যাপ্টেন শেফালি ভার্মা। নিজের জন্মদিনের গিফট হিসেবে বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলেন। সেই স্বপ্নপূরণ করলেন তিনি। এদিন শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে নাকানিচোবানি খেতে হয় ইংরেজ ব্য়াটারদের। তিতাস সাধু সবচেয়ে সফল বোলার ভারতের। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন। অর্চনা দেবী ও পার্শ্বভী চোপড়াও ২টো করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন মন্নত কাশ্যপ, শেফালি ভার্মা ও সোনম যাদব। ১৭.১ ওভারেই অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। 


এরপর ব্যাট করতে নেমে যদিও ২ ওপেনার বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। শেফালি ভাল শুরু করলেও ১৫ রান করে ফিরে যান। ৫ রান করে স্বেতা শেহরাওয়াত। তবে সৌম্যা তিওয়ারি ও গঙ্গাদি তৃষা ২ জনেই ব্যক্তিগত ২৪ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে দেন। দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন তিতাস সাধু।



এবারই প্রথমবার আয়োজিত হয়েছিল অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর প্রথমবারেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হল ভারত। ২০০৭ সালে পুরুষদের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারত। সেটিও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই আয়োজিত হয়েছিল।