পুণে: নিজেদের শেষ ম্যাচ। দলের প্রধান তারকা শাকিব আল হাসান নেই। চোটের জন্য তিনি মাঠের বাইরে। অন্যদিকে উল্টোদিকে আগের ম্যাচে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে বিশ্বকাপের সেমিতে জায়গা করে নেওয়া অস্ট্রেলিয়া। তবে তাতেও কুছ পরোয়া নেহি। কামিন্স, জাম্পা, হ্যাজেলউডদের বিরুদ্ধে তিনশোর ওপর রান বোর্ডে তুলে দিল বাংলাদেশ। অর্ধশতরান হাঁকালেন তৌহিদ হৃদয়। অল্পের জন্য অর্ধশতরান মিস করলেন এই ম্যাচে টাইগারদের নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত। নির্ধারিত ৫০ ওভারে বোর্ডে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান তুলে ফেলল বাংলাদেশ। 


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক কামিন্স। আগের ম্যাচের নায়ক ম্যাক্সওয়েলকে এদিন বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। আগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল যে এদিনের গুরুত্বহীণ ম্যাচে যে তাঁকে পাওয়া যাবে না। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল দলের মূল পেস তারকা মিচেল স্টার্ককেও। তাঁদের বদলে দলে ঢুকেছিলেন স্টিভ স্মিথ ও সিন অ্যাবট। বাংলাদেশের হয়ে এদিন শাকিবের পরিবর্তে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তানজিদ হাসান। তাঁর সঙ্গে ওপেনে নেমেছিলেন লিটন দাস। দুজনেই ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। একজনকে ফেরান অ্যাবট ও একজনকে ফেরান জাম্পা। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় মিলে দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। শান্ত এর আগে এই বিশ্বকাপে একটি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যদিও সেই ম্যাচে হারতে হয় বাংলাদেশকে। এদিনের ম্য়াচে ব্যাট হাতে অবশ্য ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। হৃদয় যদিও চলতি বিশ্বকাপে তাঁর প্রথম অর্ধশতরান পূরণ করেন। যদিও ৭৯ বলে ৭৪ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। নিজের ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান হৃদয়। মাহমুদুল্লাহ ৩২ রানের ইনিংস খেলে রান আউট হয়ে ফিরে যান ডাগ আউট। লোয়ার অর্ডারে মুশফিকুর ২১ ও মেহদি হাসান ২৯ রানের ইনিংস খেলেন। 


অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে ২টো করে উইকেট নেন সিন অ্যাবট ও অ্যাডাম জাম্পা। ১টি উইকেট নেন স্টোইনিস। এই ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার কাছে সেমিফাইনালে নামার আগে প্রস্তুতি ম্য়াচের সমান। তবে বাংলাদেশের লক্ষ্য জয়। কারণ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যোগ্যতা অর্জন করতে হবে বিশ্বকাপে এই ম্যাচে জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ টাইগারদের কাছে। আগের ম্য়াচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল টাইগাররা। সেই ম্যাচেই বিতর্কিত টাইম আউট করেছিলেন শাকিব ম্যাথিউজকে।