এর আগের ম্যাচেই দুরন্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন ঋষভ। রান তাড়া করতে নেমে সেঞ্চুরি করে অবশ্য আউট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থেকে হনুমা বিহারী ও আর অশ্বিন দলের হার রুখে দিয়েছিলেন। এই ম্যাচে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন ঋষভ। সবমিলিয়ে এই জয় তারুণ্যের জয়।
এই নিয়ে পরপর দুবার অস্ট্রেলিয়াকে তাদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ হারিয়ে গাওস্কর-বর্ডার ট্রফি নিজেদের দখলেই রাখল ভারত।
মায়াঙ্ক অগ্রবাল আউট হয়েছিলেন ২৬৫ রানে। সেখান থেকে পন্থের সঙ্গে জুটিতে মূল্যবান ৫৩ রান যোগ করেন তিনি। মায়াঙ্ক ৯ রান করে আউট হন।
ঋষভ পন্ত ১৩৮ বলে ৮৯ করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৯ টি চার ও একটি ছয়।
গাব্বার পঞ্চম দিনের পিচে ভারতের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ৩২৪ রান। গতকাল অস্ট্রেলিয়া ভারতের সামনে ৩২৮ রানের লক্ষ্য রেখেছিল। দিনের শেষে ভারতের রান ছিল বিনা উইকেটে ৪। পঞ্চম দিন সকালে রোহিত শর্মা দ্রুত ফিরে গেলেও এতটুকু না দমে ইনিংস এগিয়ে যান শুভমান গিল ও চেতেশ্বর পূজারা। পূজারা একদিকে ক্রিজ আঁকড়ে পড়েছিলেন। অন্যদিকে, তরুণ শুভমন রান এগিয়ে নিয়ে চলেন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে। ফলে অস্ট্রেলিয়াই চাপে পড়ে যায়। শুভমানদের দাপটে আক্রমণাত্মক রণনীতি নিতে পারেনি আয়োজক দল। অন্যদিকে, পূজারা ও শুভমানের জুটিতে ডিফেন্স ও আক্রমণের যুগলবন্দী ভারতের জয়ের আশা জাগিয়ে তোলে। কিন্তু একেবারে সেঞ্চুরি দোরগড়া থেকে ফিরে যান শুভমান। ১৪৬ বলে ৯১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে নাথন লায়নের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৮ টি চার ও দুটি ছয়ে। পূজারার সঙ্গে জুটিতে ১১৪ রান যোগ করে যান শুভমান।
এরপর ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক রাহানে। ১ টি চার ও ১ টি ছয়ের সাহায্যে ২২ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান তিনি। পূজারার সঙ্গে ৬৫ রান যোগ করেন তিনি। দলের ১৬৭ রানে রাহানে আউট হন। ভারতের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে। এরপর ২২৮ রানে পূজারা ২১১ বলে ৫৬ রান করে আউট হন। ২৬৫ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন। আউট হন মায়াঙ্ক। পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে ভারতের।