হারারে: ছয় মাস মাঠের বাইরে ছিলেন দেখে কে বলবে। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারই (১৮ অগাস্ট) প্রথম ওয়ান ডেতে (IND vs ZIM 1st ODI) ছয় মাস পর চোট সারিয়ে মাঠে নামেন দীপক চাহার (Deepak Chahar), আর মাঠে নেমেই বাজিমাত। দুরন্ত বোলিংয়ে নিজের কামব্যাকে ভারতীয় তারকা জিতে নিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। 


প্রথম ওয়ান ডেতে চাহার নতুন বল হাতে আগুন ঝড়ান। এক, দুই নয়, প্রথম ১১ ওভারের মধ্যে একাই চাহার তিন তিনটে উইকেট তুলে নেন। তাঁর দৌলতেই শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় জিম্বাবোয়ে। লোয়ার অর্ডারের প্রচেষ্টায় কোনওরকমে ১৮৯ রান তুললেও, তা ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতার জন্য় কখনই যথেষ্ট ছিল না। ভারত জবাবে ব্যাট করতে নেমে সহজেই ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়। চাহার সাত ওভারে ২৭ রান খরচ করে তিন উইকেট নেন।


বিশ্বকাপে সুযোগ পাবেন চাহার?


এশিয়া কাপের দল ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। সেই দলে রিজার্ভে রয়েছেন দীপক চাহার। তাঁর এই ছয় মাস অনুপস্থিতিতে অনেক বোলারই ভারতের হয়ে সুযোগ পেয়ে নিজেদের জাত চিনিয়েছেন। ফলে তাঁর আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে থাকা নিশ্চিত নন। অবশ্য এই দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্সের পর দীপকের ফর্ম নিয়ে সন্দেহ থাকার কোনও কথা নয়। দীপক নিজেও বলছেন যে তাঁর ফিটনেস নিয়েও যে কোনও সমস্যা নেই তা এই ম্যাচই প্রমাণ করে দেয়। তিনি বলেন, 'আমি জানি আমায় (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য) নির্বাচিত করা হবে কি না, সেটা তো আমার হাতে নেই। তবে নিজের খেলার বিষয়ে আমি ভীষণ খেটেছি।'


চাহার স্বীকার করে নিচ্ছেন যে এই ম্যাচে নামার আগে তিনি বেশ চাপেই ছিলেন। দলে যে তাঁর অনুপস্থিতিতে বাকিরাও ভাল পারফর্ম করায় তাঁর কাজটা কঠিন হয়েছে, তা মেনে নিতেও দ্বিধা করেননি তিনি। ভারতীয় তারকা জানান, 'চাপ তো ছিলই। কারণ আমি দলে আমার হারানো স্থান ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় রয়েছি। এদিকে এর মধ্যে যারা দলের হয়ে খেলেছে, তারাও ভাল পারফর্ম করে নিজেদের তরফে (দলে জায়গা পাওয়ার) জোরালো দাবি জানাচ্ছে। সুতরাং, জায়গা ফিরে পেতে ভাল পারফর্ম তো করতেই হবে। আমি প্রথম সুযোগেই ভাল করতে বদ্ধপরিকর ছিলাম। একটা খেলোয়াড় এর থেকে তো আর বেশি কিছু করতে পারে না।'


ফিটনেসে সন্তুষ্ট


নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও বেশ সন্তুষ্ট চাহার। 'আমি যেখানে ছেড়েছিলাম, সেখানেই থেকেই আবার শুরুটা করেছি বলে আমার মনে হয়। আজ প্রথম দুই ওভার বাদে বলটা ভালই করেছি। টানা সাত ওভার বল করেছি, ফলে আমার ফিটনেস নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকার কথা নয়। আমার পরিকল্পনাটা ভীষণই সহজ। যখন বল সুইং করছে, তখন ওপরের দিকে বলটা রেখে উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করি। সুইং না করলে বাকি পরিকল্পনা নিয়ে না হয় ভাবা যাবে। আজ বল সুইং হচ্ছিল। তাই আজ বলটা ফুল লেংথে রেখে সুইংয়ের মিশ্রণে ব্যাটারদের পরাস্ত করাই আমার লক্ষ্য ছিল।' জানান দীপক।


আরও পড়ুন: বয়স যেন কমে গিয়েছে! জয়ের পর কেন বলছেন ধবন?