কলকাতা: বিশ্বকাপে (World Cup) সদ্য অস্ট্রেলিয়াদের (Australia) কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল, টি-২০ সিরিজে (T20 Match Series) প্রথম ম্যাচ জিতে যেন সেই ক্ষততে কিছুটা প্রলেপ। সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) এবং ঈশান কিশাণের (Ishaan Kishan) ঝোড়ো ব্যাটিং এবং শেষে রিঙ্কু সিংয়ের (Rinku Singh) ব্যাটে ভর করে টি-২০ সিরিজের  প্রথম ম্যাচে জয় পেল ভারত। যদিও শেষ বল অবধি জারি ছিল টেনশন। তবে শেষ হাসি হাসল সূর্য-ব্রিগেড।        


এদিন ২০৯ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা ছিল ভারতের সামনে। যদিও শুরুতে রুতুরাজ, যশস্বী আউট হয়ে যাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে যায় ভারত। ২৫ রানে ২ উইকেট থেকে ম্যাচের হাল ধরেন ঈশান কিশাণ এবং সূর্যকুমার যাদব। চার-ছয়ের বন্যায় ম্যাচ ভারতের দিকে নিয়ে যান এই দুই ব্যাটার। তবে ৩৯ বলে ৫৮ করে আউট হন ঈশান। এরপর ছয় হাঁকিয়ে অর্ধশতরান করেন সূর্যকুমারও। সেই সময় সঙ্গী ছিলেন তিলক বর্মা। যদিও ১০ বলে ১২ করে সাজঘরে ফিরে যান তিনিও। 


গোটা ইনিংসে মারমুখী ব্যাটিং করলেও ৮০ রানে প্যাভেলিয়নে ফেরেন সূর্যকুমার।  ৯টি চার এবং চারটি ছক্কার হাত ধরে ৪২ বলে ৮০ রান করে এদিন ম্যাচ প্রায় ভারতের দিকেই নিয়ে আসার কাজ করে দেন ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার। এরপর অবশ্য চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। 






যদিও কেকেআর তারকা রিঙ্কু সিং ক্রিজে থাকায় ম্যাচ ফিনিশারের কাজটি তিনিই করে দেন। ১৪ বলে ২২ রানে অপরাজিত থেকে একেবারে ধোনি স্টাইলে শেষ বলে ছয় হাঁকিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করেন রিঙ্কু। যদিও ১ বলে ১ রান বাকি ছিল। তবে শেষ বলটি নো বল- হওয়ায় রিঙ্কু ছয় কাউন্ট না হলেও ভারতের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।  বৃহস্পতিবার ২ উইকেটে জিতে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ভারত। ৪২ বলে ৮০ রান করে ম্যাচের সেরা হলেন সূর্যকুমার যাদব। 


আরও পড়ুন, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নাটকীয় জয় ভারতের, নো বলে ছয় মেরে টি-২০ এর প্রথম ম্যাচ ভারতের পকেটে


এদিন প্রথমে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। রোহিত, হার্দিকের অনুপস্থিতিতে তাঁর কাঁধেই চলতি সিরিজের পাঁচ ম্যাচে নেতৃত্বের দায়ভার। এদিন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন স্টিভ স্মিথ ও ম্য়াথু শর্ট। শুরু থেকেই মারমুখি মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন ২ ব্যাটারই। বিশ্বকাপের স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন স্মিথ। তবে শর্ট ছিলেন সিরিজে নবাগত। তবে ১৩ রান করে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান শর্ট। এরপর ইংলিশ এসে জুটি বাঁধেন স্মিথের সঙ্গে। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকলেও চার, পাঁচের ওপরে ব্যাট করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। এদিন তিন নম্বরে নেমে নিজের জাত চেনালেন। ক্রিকেটীয় শটই নয় শুধু, আনঅথ্রোডক্স কিছু শট হাঁকালেন, যা দেখে বাহবা দিলেন সূর্যকুমার যাদবও। শেষ পর্যন্ত ১১টি বাউন্ডারি ও ৮টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৫০ বলে ১১০ রান করে আউট হন ইংলিশ। তবে তার আগে স্মিথ অর্ধশতরান হাঁকিয়ে ফেলে রান আউট হয়ে। তিনি ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। স্মিথ ও ইংলিশের জুটি ১৩০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। এই দুজন ফিরে যাওয়ার পর টিম ডেভিড ও মার্কাস স্টোইনিস মিলে দলের স্কোর দুশোর গণ্ডি পার করে দেন। ডেভিড ১৯ ও স্টোইনিস ৭ রান করে আউট হন।