চেন্নাই: তৃতীয় তথা শেষ আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতল ভারত।  এদিন চেন্নাইয়ে ক্যারিবিয়ানদের রাখা ১৮২ রানের লক্ষ্যমাত্রাকে একেবারে শেষ বলে জিতে বাজিমাত করে মেন ইন ব্লু-রা। ভারতের এই  রান তাড়া করার দৌড়ে বড় অবদান রাখেন ওপেনার শিখর ধবন। এদিন কার্যত ধরন-ঝড়ে চলেছে চিদম্বরম স্টেডিয়ামে। ৯২ রানের (৬২ বলে) ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন ধবন। ছিল ১০টি চার ও ২টি ছক্কা। এছাড়া ভাল ব্যাটিং করেন ঋষভ পন্ত (৩৮ বলে ৫৮ রান)।



এদিন রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। ব্যক্তিগত চার রানে আউট হন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ভাল শুরু করেও চালাতে গিয়ে আউট হন কে এল রাহুল (১০ বলে ১৭)। এখান থেকে ম্যাচে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন শিখর ও পন্ত। তৃতীয় উইকেটে এই দুজন ১৩০ রান যোগ করেন। সেখানেই ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাত থেকে বেরিয়ে যায়। ম্যাচের অন্তিম লগ্নে আউট হন পন্ত ও শিখর। তাতে ম্যাচ কিছুটা রোমহর্ষক মোড় নেয়। মাথা ঠান্ডা রেখে শেষ বলে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন মণীশ পাণ্ডে।


এর আগে এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লোস ব্রেথওয়েট। শুরুটা ভালই করেন দুই ওপেনার শাই হোপ ও শিমরান হেটমেয়ার। প্রথম উইকেটে ওঠে ৫১ রান। ২৪ করে আউট হন হোপ। কিছুক্ষণের মধ্যই ২৬ রান করে ফেরেন অপর ওপেনার হেটমেয়ারও। ১৫ রান করেন রামদিন। তাঁকে ফেরান প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া ওয়াশিংটন সুন্দর। সেখান থেকেই দলকে টেনে তোলেন ডারেন ব্রাভো ও নিকোলাস পুরান। দুজনে চতুর্থ উইকেটের জন্য দলের পক্ষে অপরাজিত ৮৭ রান তোলেন।



এর মধ্যেই নিজের অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন পুরান। এদিন বিধ্বংসী মেজোজে ছিলেন তিনি। মাত্র ২৫ বলে করা তাঁর ৫৩ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৪টি চার ও ৪টি ছক্কায়।  ব্রাভো অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে (৩৭ বল)। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮১ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের হয়ে দুটি উইকেট দখল করেন যযুবেনদ্র চহাল। একটি করেন সুন্দর। ভারতীয় দলে দু’টি বদল হয়। জসপ্রীত বুমরাহ ও কুলদীপ যাদবের বদলে দলে আসেন যুজবেন্দ্র চাহল ও ওয়াশিংটন সুন্দর।


 তিন ম্যাচের সিরিজ আগেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ায় রবিবার চেন্নাইতে কার্যত নিয়মরক্ষার ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল।


ভারতীয় দল- রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধবন, ঋষভ পন্থ, লোকেশ রাহুল, মণীশ পাণ্ডে, দীনেশ কার্তিক, ক্রুণাল পাণ্ড্য, ওয়াশিংটন সুন্দর, ভুবনেশ্বর কুমার, খলিল আহমেদ ও যুজবেন্দ্র চাহল।