মুম্বই: পাকিস্তান ক্রিকেটের (Pakistan Cricket Team) পরিচিত সমর্থক। বাবরদের হয়ে গলা ফাটাতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যান তিনি। সেই বাবর চাচা বুধবার সেমিফাইনাল ম্যাচে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের দিকে নজর রাখবেন। আর একই সঙ্গে ভারতীয় দলকেই সমর্থন করবেন পাকিস্তানের বর্ষীয়াণ এই ক্রিকেট সমর্থক। এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বসির চাচা জানিয়েছেন, ''ভারতীয় দলের প্রত্যেক প্লেয়ার দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। আমি নিঃসন্দেহে ভারতকেই সমর্থন করব আজকের ম্য়াচে। আমার স্ত্রী হায়দরাবাদের। আমি নিশ্চিত ভারতীয় দল ফাইনালে পৌঁছবে ও খেতাবও জিতবে। ভারতকে প্রথমে ব্য়াটিং নেওয়া উচিত টস জেতার পর। বোর্ডে ৩৫০-৪০০ রান তুলে নিতে হবে। এরপর ভারতের সেরা বোলিং লাইন আপ রয়েছে সেই রান আটকে দেওয়ার জন্য।''
দুই মহাতারকা রোহিত-বিরাটের শেষ কয়েকটি নক আউটে পারফরম্যান্সও এখনও পর্যন্ত ২০১১, ২০১৫ ও ২০১৯, তিনবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছেন বিরাট কোহলি। '১১ বিশ্বকাপের শেষ চারে ৯ রান ও '১৫ ও '১৯ ক্রিকেট বিশ্বযুদ্ধের সেমিফাইনালে দু'বারই মাত্র ১ রানে সাজঘরে ফিরেছিলেন বিরাট। উল্টোদিকে, রোহিত শর্মা খেলেছেন দুটি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। ২০১৫ বা ২০১৯ দুবারই বড় রান পাননি তিনিও। '১৫ বিশ্বকাপে ৩৪ ও গত বিশ্বকাপে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিরাটের মতোই মাত্র ১ রানে আউট হয়েছিলেন রোহিত শর্মা। তবে ওয়াংখেড়েতে রোহিত-বিরাটের সামনে ইতিহাস বদলে ফেলার হাতছানি রয়েইছে।
ভারতের প্রতিপক্ষ নিউজ়িল্যান্ডকে কিন্তু বিশ্বকাপের সবথেকে ধারাবাহিক দল বললেও ভুল বলা হবে না। নাগাড়ে পাঁচ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে কিউয়িরা। নিউজ়িল্যান্ড দলের প্রধান শক্তি নতুন বলের বিরুদ্ধে ব্যাটিং এবং বোলিং, উভয় ক্ষেত্রেই তাঁদের আগ্রাসন। তরুণ রচিন রবীন্দ্র ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্টে ৫৬৫ রান করে ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন। নিজের প্রথম বিশ্বকাপে এত রান করার কৃতিত্ব আর কোনও ব্যাটারের নেই। ছন্দে রয়েছেন ডেভন কনওয়েও। আর মিডল অর্ডারে ডারিল মিচেলের আগ্রাসী ব্যাটিং, তাঁদের ভরসা জোগাচ্ছে।
বোলিংয়ে টিম সাউদি এবং ট্রেন্ট বোল্টের জুটি বিশ্বের সেরা বোলিং জুটিদের অন্যতম। ভারতের স্পিন সহায়ক পিচে মিচেল স্যান্টনারও কিন্তু কিউয়িদের উইকেট এনে দিয়েছেন। তবে ম্যাট হেনরি চোটের কারণে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছেন। বিগত চার বছরে তিনি ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক। তাঁর না থাকাটা নিঃসন্দেহে নিউজ়িল্যান্ড দলের বড় ধাক্কা। ম্যাচে খাতায় কলমে ঘরের মাঠে ভারতীয় দল ফেভারিট হিসাবেই নামবে। তবে নিউজ়িল্যান্ডকে যে কোনও পরিস্থিতিতেই দুর্বল ভাবা উচিত নয়, তা নিজেদের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বারংবার প্রমাণ করেছেন তাঁরা। টিম ইন্ডিয়া এই ম্যাচ জিতে ২০১৯ সালে পাওয়া ক্ষতে প্রলেপ দেবে না কিউয়িরা নাগাড়ে তৃতীয়বার বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিট পাকা করবে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।