নয়াদিল্লি: প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিগব্যাশ লিগে খেললেন উন্মুক্ত চন্দ (Unmukt Chand)। মঙ্গলবার হোবার্ট হ্যারিকেনসের বিরুদ্ধে মেলবোর্ন রেনেগেডসের জার্সিতে অভিষেক হয় ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের।


অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক উন্মুক্ত (Unmukt Chand) ইতিহাস লিখলেন। প্রথম ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেটার হিসাবে অস্ট্রেলিয়ায় বিগ ব্যাশ টি-২০ লিগ (Big Bash T20 League) খেলার নজির গড়লেন। তবে রান পেলেন না প্রথম ম্যাচে।


অস্ট্রেলিয়ার নির্ধারিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বে খেলেছেন উন্মুক্ত। ২৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন। তার পর থেকেই গোটা বিশ্বে চুটিয়ে খেলছেন টি-২০ লিগ। যদিও বিগ ব্যাশ লিগে প্রথম ম্যাচে নজর কাড়তে পারেননি উন্মুক্ত। ৮ বলে ৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। উন্মুক্তের দলও পরাজিত হয়েছে এই ম্যাচে। হোবার্ট হ্যারিকেনসের বিরুদ্ধে ৬ রানে পরাজিত হয় রেনেগেডস। প্রথমে টসে জিতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তোলে হোবার্ট। জবাবে ১৭৬/৬ রানে শেষ হয়ে যায় মেলবোর্নের ইনিংস।


ইন্ডিয়া এ দলের প্রাক্তন অধিনায়ক অতীতে আইপিএল খেলেছেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং রাজস্থান রয়্যালসের জার্সি পরে। চুটিয়ে ফ্রাঞ্চাইজি টি-২০ লিগ খেললেও কখনও সিনিয়র ভারতীয় দলের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। এক দশকের বেশি সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ৬৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন উন্মুক্ত। ২০১২ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ায় বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন উন্মুক্ত। ফাইনালে ১১১ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন তিনি। ফাইনালে ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান।


২০১২ সালে এই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই ভারতকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতান চন্দ। তাঁকে মনে করা হচ্ছিল আগামীর তারকা। চন্দের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া এ দলও দারুণ সাফল্য পায়। তবে চন্দ এরপর আর কখনই সিনিয়র পর্যায়ে খেলতে পারেননি! তাঁকে বলা হতো বিরাট কোহলির উত্তরসূরি। অথচ ধারাবাহিকতার অভাবে হারিয়ে যান। চন্দ ৬৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৩৩৭৯ রান করেন। ১২০টি লিস্ট এ ক্রিকেটে চন্দের ব্যাট থেকে আসে ৪৫০৫ রান। ৭৭টি টি-২০ ম্যাচে তিনি করেন ১৫৬৫ রান। ভারতে দীর্ঘদিন উপেক্ষিত বলেই চন্দ গতবছর অগাস্টে দেশের হয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে।


বাংলার ক্রিকেটারদের জন্য আইপিএলের দরজা খুলতে অভিনব উদ্যোগ