নয়াদিল্লি: আইপিএলে চেন্নাই ‘বুড়ো’ দল। কলকাতা, দিল্লি, বেঙ্গালুরুর মতো দলের তুলনায় ধোনির দলের গড় আয়ু অনেকটাই বেশি। মশকরা করে  অনেকেই চেন্নাইকে ‘ডেডিস টিম’ও বলে। ধোনি (৩৭), ওয়াটসন (৩৭), ব্র্যাভো (৩৫), হরভজন (৩৮), ফাফ দু প্লেসিস (৩৪), কেদার (৩৩), রায়ডু (৩৩)- এরা সকেলেই তিরিশের কোটা পার করে ফেলেছেন। খুব শীঘ্রই ৩২-এ পা রাখবেন ‘মিস্টার আইপিএল’ সুরেশ রায়নাও। চেন্নাইতে রয়েছেন ৪০ ছুঁইছুঁই ইমরান তাহিরও। সব মিলিয়ে এই দলের গড় আয়ু ৩৫-এর উপর। উল্লেখ্য, গতবার এই দল নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ধোনিরা। ২ বছর নির্বাসিত থাকার পর ‘বুড়ো’ ঘোড়াদের উপর বাজি রেখেই ‘শাপমোচন’ হয়েছিল     শ্রীনিবাসনের চেন্নাইয়ের। এবারও সেই প্রত্যাশাতেই রয়েছে তারা।


এবার তারা শুরুটাও করেছে চমকদারভাবেই। বিরাট, এবিডির বেঙ্গালুরুকে ৭০ রানে অল আউট করে চেন্নাইয়ের রথ যাত্রা শুরু করে। দিল্লিতেও তাদের বিজয় রথ থামেনি। পরপর জয়ের পর আত্মবিশ্বাস আরও বাড়ছে গোটা দলের। ফুরফুরে দেখাচ্ছে রায়না, রায়ডু, যাদবদের। ধোনি বলছেন, তাদের দলের মূল সম্পদ অভিজ্ঞতা। তাঁর সাফ বক্তব্য, “আমাদের বয়স নিয়ে আমরা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। দলে কেউই ষাটোর্ধ্ব নেই। ৩২, ৩৫-এর মধ্যেই রয়েছি। এখনও আমরা যুবক। নিজের শরীরের খেয়াল রাখছি। আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে”। তাঁর দল যে সেরা ফিল্ডিং সাইড হয়ে উঠতে পারবে না, সেকথা মাথায় রেখেই ধোনির মন্তব্য, “আমরা কখনই সেরা ফিল্ডিং সাইড হয়ে উঠতে পারব না। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতা রয়েছে।” তবে ধোনি মানছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ তুর্কি লুঙ্গি এনগিড়িকে না পাওয়া তাদের কাছে বিরাট ক্ষতির। কারণ চেন্নাই দলে তিনিই ছিলেন সব থেকে দ্রুত গতির বোলার। ডেথ ওভারে সমস্যার কথাও লুকিয়ে রাখেননি চেন্নাই অধিনায়ক। তবে তারা দিল্লির বিরুদ্ধে যেভাবে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে, তাতে অনেকেই ফের একবার চেন্নাইয়ের চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে বুক বাঁধতে শুরু করেছেন।


এদিকে ঘরের মাঠে হারের পর দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স বলছেন, “ব্যাটসম্যানদের কাছে এই পিচ ছিল বেশ কঠিন। আমদের আরও ১০-১৫ রানের প্রয়োজন ছিল। তবে এটা ঠিক, পাওয়ার প্লে-তে আমরা ওদের (চেন্নাই) আটকাতে পারতাম। এটা সবে শুরু, এখনও অনেক ম্যাচ বাকি আছে। এখান থেকেও অনেক ইতিবাচক বিষয় শিখেছি। ম্যাচটা শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পেরেছি, এটাও আমাদের কাছে একটা প্লাস পয়েন্ট।”