কুন্তল চক্রবর্তী, নয়াদিল্লি: আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালস প্রথমবারের চ্যাম্পিয়ন। তারপর ১১ বছর অধরা খেতাব। আসন্ন আইপিএল দেশের বাইরে- সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। এবার কি খরা কাটবে ট্রফির!
রাজস্থান রয়্যালসের দল কিন্তু মন্দ না। যে দলে জোশ বাটলার, স্টিভেন স্মিথ, জোফরা আর্চার, ডেভিড মিলার, সঞ্জু স্যামসন, বেন স্টোকসের মতো ক্রিকেটাররা রয়েছেন, তাদের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়নের তালিকা থেকে কীভাবে সরিয়ে রাখা যায়! সমস্যা একটাই, এই মুহুর্তে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে সাড়ে বারো কোটি টাকা দিয়ে দলে নেওয়ার পরও আইপিএলের কতগুলো ম্যাচে পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় রাজস্থান রয়্যালস। স্টোকসের বাবা ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন। অসুস্থ বাবার পাশে থাকতে নিউজিল্যান্ডে রয়েছেন তিনি।
এটা নিঃসন্দেহে দলের পক্ষে একটা বড় ধাক্কা। তা সত্ত্বেও বাকি যে খেলোয়াড়রা রয়েছেন, তাঁদের ধরলে রাজস্থান রয়্যালসে ভাল ভারসাম্য রয়েছে।
টপ-মিডল অর্ডারে ব্যাট করার জন্য রয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন, স্টিভেন স্মিথ, রবিন উত্থাপ্পা, বাটলার। সেই সঙ্গে নাম থাকবে ১৮ বছরের রিয়ান পরাগের। যাঁর মধ্যে আগামীদিনে বড় তারকা হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে থাকছেন মনন ভোরাও। ডেভিড মিলারের উপস্থিতিও গভীরতা বাড়াবে ব্যাটিং অর্ডারের। বেশ কয়েক বছর কিংস ইলেভেন পঞ্জাবে খেলার পর এবারই মিলার এসেছেন রাজস্থান রয়্যালসে।

রাজস্থান দলের ফাস্ট বোলারদের তালিকাও বেশ সমীহ জাগানোর মতো। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ম্যাচ উইনার। আর্চার, অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু টাই, যিনি আবার ডেথ ওভার স্পেশ্যালিস্ট, সৌরাষ্ট্রের জয়দেব উনাদকাট ও ওশেন টমাস, বরুণ অ্যারনের মতো বোলাররা রয়েছেন রাজস্থান দলে ।

এতক্ষণ ব্যাটিং ও ফাস্ট বোলিং নিয়ে আলোচনা হল। কিন্ত এবার খেতাবের ভাগ্য নির্ধারণে স্পিনারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেখে নেওয়া যাক রাজস্থান রয়্যালসের স্পিনার কারা।
দলে রয়েছেন আইপিএলে এর আগেও নজর কাড়া ময়ঙ্ক মার্কান্ডে, রাহুল তেওয়াটিয়ার মতো লেগ-ব্রেক বোলার। সঙ্গে শ্রেয়স গোপাল, ঘরোয়া ক্রিকেট ও আইপিএলে যাঁর রেকর্ড বেশ ভালো।
সবমিলিয়ে রাজস্থান রয়্যালস হেলাফেলা করার মতো দল নয়। সবচেয়ে বড় কথা, বিদেশি ক্রিকেটারদের যে তালিকা রয়েছে, তা তারকায় ভরা।
দুর্বলতা
স্পিন বোলাররা উইকেট পেতে থাকলে তো কথাই নেই। কিন্তু আইপিএলে হার্ড হিটাররা ছন্দ পেলে তাঁদের আটকানো সহজ কথা নয়। রাজস্থানের হাতে যে স্পিনাররা রয়েছেন তাঁরা ঘরোয়া ক্রিকেটে ও আইপিএলে খারাপ না করলেও চাপের মুখে কতটা সফল হতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ, অভিজ্ঞতার অভাব। প্রথম একাদশে মাত্র চার বিদেশি ক্রিকেটার খেলতে পারবেন। বাকিরা ভারতীয়। আইপিএলে ম্যাচের সমীকরণ বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হয় ভারতীয় ক্রিকেটারদের। রাজস্থান রয়্যালসে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সেভাবে সুপারস্টার কেউ নেই। সেদিক থেকে দেখতে গেলে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের ওপর আইপিএলে প্রতি বছরই অনেক আশা থাকলেও তাঁরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গড়পড়তা পারফর্ম করেছেন।

দ্বিতীয়ত স্টোকসকে কতগুলি ম্যাচে পাওয়া যাবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এটা রাজস্থান রয়্যালয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটা বড় ধাক্কা।