চেন্নাই: রাত পোহালেই আইপিএল (IPL)। আর প্রথম দিনই মাঠে নামছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা (MS Dhoni)। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্স। তবে সেই ম্যাচের আগে বিরাট ধাক্কা খেল চেন্নাই সুপার কিংস।


পিঠে স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের জন্য গোটা টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গেলেন দলের অন্যতম সেরা পেসার। তাঁর পরিবর্ত কে হবেন, তাও ঘোষণা হয়ে গেল এদিন।


পিঠের চোটের জন্য আগেই ছিটকে গিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার কাইল জেমিসন। ফের ধাক্কা খেলেন ধোনিরা। ছিটকে গেলেন পেসার মুকেশ চৌধুরী। গত আইপিএলে যিনি বল হাতে নজর কেড়ে নিয়েছিলেন। মুকেশের পরিবর্তে আকাশ সিংহকে নিয়েছে সিএসকে। মিনি অকশনে যিনি অবিক্রিত ছিলেন। তাঁকে ন্যূনতম দাম ২০ লক্ষ টাকাতে নিয়েছে সিএসকে।


গত মরসুমে লিগ পর্বে দুবারের সাক্ষাতে দুবারই সিএসকে-কে হারিয়েছিল গুজরাত টাইটান্স। তাই মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে এগিয়ে থাকবেন হার্দিক পাণ্ড্যরাই।


অভিযান শুরুর আগে গুজরাত টাইটান্স শিবিরে কোনও চোট আঘাত নেই। ক্রিকেটারেরা সকলেই ফিট। তবে ডেভিড মিলারকে প্রথম ম্যাচে পাচ্ছে না গুজরাত। দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলবেন বলে তিনি ৩ এপ্রিলের আগে হার্দিকদের শিবিরে যোগ দিতে পারবেন না। আয়ার্ল্যান্ডের পেসার জশ লিটল পাকিস্তান সুপার লিগে খেলতে না পারলেও গুজরাত শিবিরে যোগ দিয়েছেন। 


অন্যদিকে সিএসকে পেসার মুকেশ চৌধুরী চোটের জন্য নেই। বেন স্টোকস খেলবেন। তবে হাঁটুর চোটের জন্য বল করবেন না। শুধু ব্যাটার হিসাবে তাঁকে খেলাবে সিএসকে।


বাঙালি ক্রিকেটপ্রেমীরা দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন, ঋদ্ধিমান সাহা প্রথম একাদশে সুযোগ পান কি না। গুজরাত দলে চারজন উইকেটকিপার আছেন। ঋদ্ধি ছাড়াও আছেন ম্যাথু ওয়েড, কে এস ভরত ও উর্ভিল পটেল। তবে গতবার শুভমন গিলের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করেছিলেন ঋদ্ধিমান। এবারও প্রথম একাদশে তাঁকে দেখার সম্ভাবনাই বেশি। পাশাপাশি মিলারের শূন্যস্থান পূরণ করতে পারেন ওয়েড।


গুজরাত এবারের মিনি অকশন থেকে কেন উইলিয়ামসনকে দলে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুরন্ত ছন্দে আছেন উইলিয়ামসন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। তার আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন।


গুজরাতের দুই অলরাউন্ডার, হার্দিক ও রাহুল তেওয়াটিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে। গতবারের আইপিএলে পুনর্জন্ম হয়েছিল হার্দিকের। এ বছরই অধিনায়ক হিসাবে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ জিতিয়েছেন হার্দিক। এবার অধিনায়ক হিসাবে তাঁর আইপিএল খেতাব রক্ষা করার লড়াই। হার্দিক ও রাহুল, দুজনই বিগহিটার। পাশাপাশি হার্দিক বল হাতেও কার্যকরী। লোয়ার অর্ডারে রাহুলের স্ট্রাইক রেট ১৪৭-এরও বেশি। গত আইপিএলে ১২ ম্যাচে ২১৭ রান করেছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে হরিয়ানার হয়ে বিজয় হাজারে ট্রফিতে বল হাতে ১৩ উইকেট নিয়েছেন রাহুল। বোলার রাহুলকেও ব্যবহার করতে পারেন হার্দিক।