সন্দীপ সরকার, কলকাতা: তিনি আদ্যোপান্ত টিমম্যান। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (MS Dhoni) বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। তবে কোচ হিসাবে নিজের দ্বিতীয় ইনিংসেও যথেষ্ট সফল। গুজরাত টাইটান্সের বোলিং কোচ হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন। আইপিএল অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গুজরাত। প্রশংসিত হয়েছে মহম্মদ শামি-রশিদ খানদের পারফরম্যান্স। বোলার হিসাবে যেন আরও ধারাল হয়ে উঠেছেন তাঁরা।


আশিস নেহরা (Ashish Nehra) অবশ্য কৃতিত্ব নিতে নারাজ। একাধিকবার বলেছেন, নিজেদের পরিশ্রমের ফসল তুলছেন বোলাররা। তিনি নিমিত্ত মাত্র।


শনিবার ৪৪ পূর্ণ করলেন নেহরা। তবে জন্মদিনের সেলিব্রেশন মুলতুবি রাখলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন পেসার। কারণ, তিনি যে দলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, সেই গুজরাত টাইটান্সের ম্যাচ রয়েছে শনিবার। ইডেন গার্ডেন্সে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের অ্যাওয়ে ম্যাচ। প্রতিপক্ষ কলকাতা নাইট রাইডার্স। যাদের বিরুদ্ধে প্রথম দফায় নিজেদের ঘরের মাঠে কার্যত জেতা ম্যাচ হেরে গিয়েছিল গুজরাত। যশ দয়ালের শেষ ওভারে রিঙ্কু সিংহের ৫ বলে মারা ৫ ছক্কায় স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল গুজরাতের। 


শনিবারের ম্যাচ তাই গুজরাতের কাছে প্রতিশোধের লড়াই। প্রেস্টিজ ফাইট। জবাব দেওয়ার জন্য যেন ফুটছেন হার্দিক পাণ্ড্য, শুভমন গিল, মহম্মদ শামিরা। আর সেই ম্যাচের আগে নিজের জন্মদিন নিয়ে বেশি হইচই হোক, চাননি নেহরা।


গুজরাত শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, শনিবার মাঝরাতে কেক কেটে সেলিব্রেশনের যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, নেহরার অনুরোধেই তা মুলতুবি রাখা হয়েছে। কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরই হবে সেলিব্রেশন।


আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৩৫ উইকেট রয়েছে নেহরার। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অধিনায়ক থাকাকালীন নেহরাকে ধারাবাহিকভাবে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। সৌরভের টিম ইন্ডিয়ার পেস বোলিং বিভাগের যে ত্রিফলা বিপক্ষকে বারবার ফালাফালা করে দিয়েছে, তার অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন বাঁহাতি পেসার। জাভাগাল শ্রীনাথ ও জাহির খানের সঙ্গে। ২০০৩ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর ৬ উইকেটের বিধ্বংসী বোলিং এখনও লোকের মুখে মুখে ফেরে। ২০১৭ সালে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন নেহরা। তারপরই শুরু হয় তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস। কোচ হিসাবে।


আরও পড়ুন: গুণের 'খনি', কিন্তু কখন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কমলা লেবু ?


কোচের ভূমিকাতেও নজর কেড়ে নিয়েছেন নেহরা। শামির পুনর্জন্ম হয়েছে নেহরার হাতেই। ঠিক যেমন বোলার হার্দিক পাণ্ড্যকে ফেরানোর নেপথ্যেও বড় ভূমিকা রয়েছে নেহরার। চুয়াল্লিশের 'বার্থ ডে বয়'-কে দলের সকলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে সেলিব্রেশন তুলে রাখা হয়েছে রাতের জন্য। কোচ হিসাবে নতুন নজির গড়লেন দিল্লির প্রাক্তন ক্রিকেটার।


আরও পড়ুন: তিন প্রাক্তন নাইট দিয়েই কেকেআরের স্বপ্ন ধ্বংস করার ছক কষছে গুজরাত