লখনউ: কথায় আছে, সকাল দেখে বোঝা যায় দিনটি কেমন যাবে।


শুক্রবার একানা স্পোর্টস সিটিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যখন প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১২১/৮ স্কোরে আটকে গিয়েছিল, তখনই বোঝা গিয়েছিল যে, ম্যাচ জেতার ব্যাপারে ফেভারিট কে এল রাহুল-মার্কাস স্টোইনিসের মতো ব্যাটার সমৃদ্ধ লখনউ। 


শেষ পর্যন্ত হলও তাই। ৪ ওভার বাকি থাকতে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল লখনউ সুপার জায়ান্টস। টুর্নামেন্টে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় জয় তুলে নিলেন রাহুলরা। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে লখনউ।


শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লখনউ সুপার জায়ান্টসের স্পিনারদের বিরুদ্ধে বিপাকে পড়ল হায়দরাবাদ। স্পিন ত্রিফলায় বিদ্ধ হতে হল হায়দরাবাদকে। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১২১/৮ স্কোরে আটকে যায় হায়দরাবাদ। ম্যাচ জিততে কে এল রাহুলদের তুলতে হতো মাত্র ১২২ রান। রাহুল, কাইল মেয়ার্স, মার্কাস স্টোইনিস সমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইন আপ যা কার্যত চাপমুক্ত থেকে তুলে ফেলল। ১৬ ওভারেই হয়ে গেল ম্যাচের ফয়সালা।


শেষ খেতাব প্রায় ৭ বছর আগে। ২০১৬ সালে। ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বে ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তারপর থেকে ট্রফি নেই। রয়েছে শুধু অন্তর্দ্বন্দ্ব। কখনও ওয়ার্নারকে বাদ দিয়ে কেন উইলিয়ামসনকে অধিনায়ক করা হয়েছে। কখনও সংঘাত হয়েছে রশিদ খানের সঙ্গে। গতবার আট নম্বরে শেষ করেছিল। প্লে অফের যোগ্যতা পায়নি। এবার অবশ্য খোলনলচে বদলে মাঠে নামছে হায়দরাবাদ। কোচ করা হয়েছে কিংবদন্তি ব্রায়ান লারাকে। অধিনায়ক হয়েছেন এডেন মারক্রাম। তবে ফলাফল পাল্টায়নি।


প্রথম ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস ৭২ রানের বিরাট ব্যবধানে হারিয়েছিল হায়দরাবাদকে। সেই ম্যাচে খেলতে পারেননি অধিনায়ক মারক্রাম। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ম্য়াচ খেলছিলেন বলে। তাঁর পরিবর্তে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। শুক্রবার অবশ্য মারক্রাম খেললেন। নেতৃত্বও দিলেন। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতার ছবিটা বদলাল না।


টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মারক্রাম। কিন্তু লখনউয়ের স্পিনারদের বিরুদ্ধে কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি।বাঁহাতি স্পিনার ক্রুণাল পাণ্ড্য ফিরিয়ে দেন ময়ঙ্ক অগ্রবালকে। অনমোলপ্রীত সিংহ (২৬) ও মারক্রামকেও (০) ফিরিয়ে দেন হার্দিক পাণ্ড্যর দাদা। রবি বিষ্ণোইয়ের বলে ৩ রান করে ফিরে যান হ্যারি ব্রুক। অমিত মিশ্র এক ওভারে তুলে নেন ওয়াশিংটন সুন্দর (১৬) ও আদিল রশিদকে (৪)। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে ১০ বলে ২১ রান আব্দুল সামাদের। লখনউ বোলারদের মধ্যে মাত্র ১৮ রানে ৩ উইকেট ক্রুণালের। ২৩ রানে ২ উইকেট অমিত মিশ্রর। রবি বিষ্ণোইয়ের এক উইকেট।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ রানের মধ্যে কাইল মেয়ার্স ও দীপক হুডার উইকেট হারালেও রাহুল (৩১ বলে ৩৫ রান) ও ক্রুণাল পাণ্ড্য (২৩ বলে ৩৪ রান) নিশ্চিত করে দেন যে, কোনও অঘটন ছাড়াই ম্যাচ জিতবে লখনউ।


আরও পড়ুন: রিস টপলি, রজত পাতিদারের বিকল্প হিসাবে কাদের দলে নিল আরসিবি?