নয়াদিল্লি: তিনি বরাবরই আর পাঁচজনের চেয়ে আলাদা। চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক দেখিয়ে দিলেন, তিনি দলের "বস" নন, "লিডার"।


করোনার ধাক্কায় আচমকাই মাঝপর্বে স্থগিত হয়ে গিয়েছে আইপিএল। সমস্ত দলের ক্রিকেটারেরা যে যার বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন। ভারতীয় সকলেই ফিরে গিয়েছেন। বিদেশিরা অবশ্য অনেকে এখনও বাড়ি ফেরার বিমানের অপেক্ষায়। তবে শুক্রবার পর্যন্ত দলের সঙ্গেই ছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। বাড়ি ফেরেননি। কেন? টিম ম্যানেজমেন্টকে তিনি জানিয়েছিলেন, দলের সকলে বাড়ি ফেরা না পর্যন্ত তিনিও ফিরবেন না। ধোনির এই সিদ্ধান্ত সকলের কাছে প্রবল প্রশংসিত হয়েছে। অনেকেই কুর্নিশ জানিয়েছেন ধোনির এই মানসিকতাকে। সিএসকে দলের সকলে বাড়ি ফেরার পর অবশেষে শুক্রবার রাঁচি ফেরেন ধোনি।


নাম প্রকাশ করা যাবে না, এই শর্তে চেন্নাই সুপার কিংস দলের একজন বলেছেন, 'মাহি ভাই সকলকে বলে দিয়েছিল যে, সকলের শেষে টিমহোটেল থেকে বেরবে। ও চেয়েছিল যে বিদেশি ক্রিকেটারেরা আগে যাক, তারপর ভারতীয় ক্রিকেটারেরা যাবে। মাহি ভাই বলেই দিয়েছিল যে, সকলে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর সকলের শেষে বিমান ধরবে।'



ধোনির এই সিদ্ধান্তের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে। নেটিজেনরা তাঁর এই মহানুভবতাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সকলে এক বাক্যে জানিয়েছেন যে, নেতা মানে কী, সেটা সামনে থেকে দেখিয়ে দিয়েছেন ধোনি। সকলের কাছে উদাহরণ তৈরি করে দিয়েছেন।


আমদাবাদে কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরকে চাঙ্গা করতে আবার আসরে নেমেছিলেন শাহরুখ খান। দলের সকলে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে একটি ভিডিও কনফারেন্স করেন তিনি। সেখানেই সকলকে উদ্বেগমুক্ত করার চেষ্টা করেন। কেকেআর দলের একজন এবিপি লাইভকে বলেছেন, "শাহরুখ জুম কলে ভিডিও কনফারেন্স করেছিলেন। উনি শুরুতেই বলেন, এখন ক্রিকেটের কথা ভুলে যাও। নিজেদের কথা ভাবো। পরিস্থিতি ঠিক হলে ফের ক্রিকেটের কথা ভাবা যাবে। জান হ্যায় তো জাঁহা হ্যায়। আগে নিজে বাঁচো, সুস্থ থাকো। তারপর সব।" দলেরই আর একজন বলেন, "টিমমালিক হিসাবে উনি সশরীরে দলের সঙ্গে নেই। তবে দলকে মানসিকভাবে তরতাজা রাখতে ভিডিও কনফারেন্স করেছিলেন। দুই করোনা আক্রান্ত বরুণ ও সন্দীপ কেমন আছে, তা নিয়েও উনি সারাক্ষণ খোঁজখবর নিচ্ছেন। সকলকেই বলেছেন, দুশ্চিন্তার কিছু নেই। প্রত্যেকের পাশে দল রয়েছে। সকলে যাতে প্রিয়জনের কাছে ফিরে যেতে পারে, সেই দায়িত্ব দলের। শাহরুখ খানের কথা শুনে সকলেই আশ্বস্ত।"