মুম্বই: চার-ছক্কার ঝড় নয়, এবারের আইপিএলের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় লড়াইগুলি যে লো স্কোরিং ম্যাচে হবে, সেই ধারণা যেন ক্রমশ জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেছে। পরপর দু'দিন দুটি লো স্কোরিং ম্যাচে নাটকীয়ভাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর স্বল্প রানের পুঁজি নিয়েও কিছুটা অভাবনীয়ভাবে ম্যাচ বার করে নিয়েছিল। বৃহস্পতিবার পরে ব্যাটিং করে জিতল রাজস্থান রয়্যালস। তবে এই ম্যাচেও নাটক। একটা সময় ২ ওভারে ২৭ রান বাকি ছিল। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১২ রান। ঝোড়ো ব্যাটিং করে রাজস্থানকে জেতালেন ক্রিস মরিস। যিনি এবারের আইপিএলে ধনীতম ক্রিকেটার। ১৮ বলে অপরাজিত ৩৬ রান করে জেতালেন রাজস্থানকে।
বৃহস্পতিবার প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি ক্যাপিটালস তুলেছিল ১৪৭/৮। দিল্লির শুরুটা কিন্তু একেবারেই ভাল হয়নি। দলের ৩৭ রানের মধ্যে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান ৪ ব্যাটসম্যান। ছন্দে থাকা পৃথ্বী শ আউট হন ব্যাটের কানায় লেগে গালিতে ক্যাচ দিয়ে। স্লোয়ার বলে ঠকে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দেন অজিঙ্ক রাহানে এবং মার্কাস স্টোয়নিসও। রাজস্থানের হয়ে তখন আগুন ঝরাচ্ছেন জয়দেব উনাদকাট। মাত্র ১৫ রানে তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন সৌরাষ্ট্রের পেসার। উল্টো দিকে একা লড়াই করছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। প্রথমে ললিত যাদব, তারপর টম কারানকে নিয়ে তিনিই দিল্লির ইনিংসকে টেনে নিয়ে গেলেন। কিন্তু রিয়ান পরাগের হাতে রান আউট হয়ে ফিরতে হল দুর্ভাগ্যজনকভাবে। অসমের ক্রিকেটার রিয়ান গত মরসুমে উইকেট নিলেই ‘বিহু’ নাচ করতে শুরু করতেন। বৃহস্পতিবার উইকেট না পেলেও বিপক্ষের ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে বিহু নাচ করলেন। পন্থ দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৫১ রাম করেন।
'বিরাট ফাস্টবোলারদের মতো আগ্রাসী, গেল ভালবাসে হিন্দিতে কথা বলতে'
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে রাজস্থান। একটা সময় ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছিল রাজস্থান। সকলেই ধরে নিয়েছিলেন, দিল্লি ম্যাচ জিততে চলেছে। সেখান থেকে পাল্টা লড়াই শুরু ডেভিড মিলারের। ৪৩ বলে ৬২ রান করলেন তিনি। আর ১৮ বলে ৩৬ রান করে ম্যাচ জেতালেন মরিস। আবেশ খান ৩ উইকেট নিলেও ম্যাচ বার করতে পারলেন না। ম্যাচের সেরা উনাদকাট।