শারজা: শেষবার তিনি যখন আইপিএলে এক ম্যাচে চার উইকেট নিয়েছিলেন, ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জেতেনি। আফগানিস্তান ফের তালিবানদের কবলে চলে যায়নি। করোনা নামক কোনও অভিশাপ বিশ্বকে গ্রাস করেনি।


সালটা ছিল ২০১৫। তার ৬ বছর পর ফের আইপিএলে এক ম্যাচে ৪ উইকেট নিলেন সুনীল নারাইন। সোমবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে বল হাতে জ্বলে উঠলেন নারাইন। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচ করে তুলে নিলেন ৪ উইকেট। নারাইনের শিকারের তালিকা?


বিরাট কোহলি। কে এস ভরত। এ বি ডিভিলিয়ার্স। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। চারজনের মধ্যে তিনজন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বোলারদের ত্রাস। কোহলি, এ বি বা ম্যাড ম্যাক্স একার হাতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন।


নারাইনের তাণ্ডবে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে কেকেআরের বিরুদ্ধে আরসিবি আটকে গেল ১৩৮/৭ স্কোরে।


এক সময় তাঁকে ব্যাটারদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক মনে করা হতো। তাঁর বলের রহস্য ভেদ করতে হিমশিম খেতেন বিশ্বের তাবড় ব্যাটাররা। নারাইনকে বলাই হতো বিস্ময় স্পিনার। পরে অবশ্য তাঁর অ্যাকশন নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠে। অ্যাকশন বদলাতে গিয়ে নারাইনের বলের ধারও কমে গিয়েছিল। তবে এবারের আইপিএলে অদ্ভুত এক অ্যাকশনে বল করছেন নারাইন। ফের যেন তাঁকে রহস্যময় দেখাচ্ছে।


সোমবার কোহলি ছাড়া আরসিবি ব্যাটারদের মধ্যে কিছুটা সফল দেবদত্ত পড়িক্কল (১৮ বলে ২১ রান)। এছাড়া আর কেউই বলার মতো রান পাননি।


শারজার মাঠ বেশ ছোট। এখানে চার-ছক্কার বন্যা বয়ে যেত এতদিন। এমনকী, ব্যাটারদের মিস হিটও অনেক সময় বাউন্ডারি পেরিয়ে যায়। যে কারণে এই মাঠে বড় রান ওঠে। তবে এবারের আইপিএলে শারজার পিচে খুব বড় রান হচ্ছে না। বল পড়ে কিছুটা থমকে ব্যাটে আসছে। যে কারণে সমস্যায় পড়ছে ব্যাটাররা। সোমবারই দেখা গেল সেই ছবি।


নারাইন ছাড়া কেকেআর বোলারদের মধ্যে ৩০ রানে ২ উইকেট লকি ফার্গুসনের। উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচ করেন বরুণ চক্রবর্তী।