মুম্বই : মঞ্চটা ছিল বদলার। শেষ না হওয়া হিসেব-নিকেষ মেলানোর। দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals) ছেড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders) শিবিরে এসে শ্রেয়স আইয়ার (Sreyash Iyer) কেমন পারফর্ম করেন সেদিকেই ছিল নজর। তবে দিল্লির প্রাক্তনী নন, বদলার মঞ্চে জ্বলে উঠলেন কলকাতা শিবিরেরে প্রাক্তনী। কুলদীপ যাদবের (Kuldeep Yadav) ঘূর্ণিতে কার্যত নাকানি-চোবানি খেয়ে ৪৪ রানে ম্যাচ হারল কেকেআর।


কেকেআরের ইনিংস


বড় স্কোর তাড়া করতে নেমে যে তৎপরতা দরকার ছিল, তেমনটা শুরু থেকেই দেখাতে পারেননি কেকেআরের ব্যাটসম্যানরা। ভেঙ্কটেশ আইয়ার (১৮) ও আজিঙ্কা রাহানে (৮) দুই ওপেনারই দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। কলকাতা শিবিরে অবশ্য আশার আলো সঞ্চার করেছিল দিল্লি শিবিরের প্রাক্তনী শ্রেয়স আইয়ার (৫৪) ও দিল্লির ছেলে নীতিশ রাণার (৩০) ব্যাটিংয়ের সুবাদে। কিন্তু তারা সাজঘরে ফেরার পরই বাকি কাজটা সেরে ফেলেন কলকাতার প্রাক্তনী কুলদীপ। ম্যাচের ১৬ তম ও তথা কুলদীপের চতুর্থ ওভারে মুম্বই ম্যাচে কেকেআরকে জেতানোর নায়ক প্যাট কামিন্স, সুনীল নারায়ন ও উমেশ যাদবকে সাজঘরে ফিরিয়ে মোট চারটি উইকেট নিয়ে কার্যত ম্যাচ শেষ করে দেন কুলদীপ (৪/৩৫)।


দিল্লির ইনিংস


পৃথ্বী শা ও ডেভিড ওয়ার্নার দুই ওপেনারই দিল্লির হয়ে ঝোড়ো শুরু করেন। যে পর্বে একের পর এক বোলিং পরিবর্তন করলেও তাদের পার্টনারশিপ ভাঙতে পারেননি শ্রেয়স আইয়ার। অবশেষে পাওয়ার প্লে-র শেষে ২৯ বলে ৭টি চার ও ২ টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৫১ রানের মাথায় বরুণ চক্রবর্তীর শিকার হন পৃথ্বী। তিন নম্বরে নেমে রানের গতি বজায় রেখেছিলেন দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্থও (২৭)। পন্থ-ওয়ার্নার জোড়েন ৫৫ রানের পার্টনারশিপ। ইনিংসের মাঝপর্বে অবশ্য ঋষভের পর ললিত যাদব ও কোভমান পাওয়ালকে দ্রুত ফেরানোর পর ওয়ার্নারকেও ফেরান কলকাতার বোলাররা। ওয়ার্নারের উইকেট নেন উমেশ যাদব। আন্দ্রে রাসেল একটি ও সুনীল নারায়ন ২ টি উইকেট নেন।






যদিও অক্ষর প্যাটেল ও শার্দুল ঠাকুর ইনিংসের শেষপর্বে অপরাজিত ৪৯ রানের পার্টনারশিপে দিল্লির স্কোর পৌঁছে দেন ২১৫ রানে। ১৪ বলে অক্ষর অপরাজিত থাকেন ২২ রানে আর প্যাট কামিন্সের শেষ বলে ছক্কা সহ মোট ৩ টি ছক্কা ও ১ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১ বলে ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেনে শার্দুল। এদিনের ২২ রানের পথে আইপিএলের মঞ্চে ১০০০ রানের মাইলস্টোন পূর্ণ করেন অক্ষর প্যাটেল।


আরও পড়ুন- আউট ঘিরে 'বিরাট' বিরক্তি, কোহলির পাশে আরসিবি