মুম্বই: সালটা ছিল ২০০৮। সেবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে প্রথমবার আইপিএলে অভিষেক হয় ডোয়েন ব্র্যাভোর। লাসিথ মালিঙ্গা চোট পাওয়ায় তাঁর পরিবর্ত হিসেবে সুযোগ এসে গিয়েছিল প্রথম একাদশে। আজ ১৪ বছর পর সেই মালিঙ্গাকেই টপকে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক উইকেট শিকারি হলেন ডোয়েন ব্র্যাভো। এই মুহূর্তে ১৭১ উইকেটের মালিক তিনি। 


উইকেট শিকারি হিসেবে শীর্ষে ব্র্য়াভো


আইপিএলের ইতিহাসে সর্বকালীন রেকর্ড গড়লেন ডোয়েন ব্র্যাভো। দরকার ছিল ১টি উইকেট। লখনউ সুপার জায়ান্টসের দীপক হুডাকে সাজঘরে ফেরানো মাত্রই ইতিহাস গড়েন ডিজে ব্র্যাভো। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের ইতিহাসে সব থেকে বেশি উইকেট নেওয়ার নজির গড়েন তিনি। এই ম্যাচের পরে ব্র্যাভোর আইপিএল উইকেট সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭১। মালিঙ্গা আইপিএলের ১২২টি ম্যাচে ১৭০টি উইকেট নিয়েছেন। ব্র্যাভো কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২২-এর উদ্বোধনী ম্যাচে ৩টি উইকেট নিয়ে মালিঙ্গাকে ছুঁয়ে ফেলেন। এবার লখনউয়ের বিরুদ্ধে ১টি উইকেট নিয়ে লঙ্কা তারকাকে পিছনে ফেলে দেন তিনি। ব্র্যাভো ১৫৩ ম্যাচে মাঠে নেমে মালিঙ্গার রেকর্ড ভাঙলেন। আপাতত মালিঙ্গা চলে গেলেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে।


ফিনিশার ধোনি


এই কাজটির জন্যই গত দেড় দশক ধরে বিখ্যাত তিনি। এখন বয়স বেড়েছে। চল্লিশের বুড়ো হাড়েও যে জোর কমেনি তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। লখনউ সুপার জায়ান্টস দলের হয়ে ২টো বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬ বলে ১৬ রান করে সিএসকের ইনিংস দুশোর গণ্ডি পার করে দেন এমএসডি।


রান তাড়া করে জয় লখনউয়ের


দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিশাল লক্ষ্যমাত্রার সামনে দুর্দান্ত শুরু করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। নতুন অধিনায়ক কে এল রাহুলের ব্যাটিং ও ওপেনিংয়ে তাঁর পার্টনার কুইন্টন ডি কক দারুণ শুরু করে। ৯৯ রান বোর্ডে তুলে প্রথম উইকেট হারায় লখনউ। কে এল রাহুল ফিরে যান। ৪০ রান করে। নিজের ইনিংসে ২টো বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ডি কক আগের ম্যাচে রান না পেলেও এদিন ৪৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে। তবে খেলা একেবারে নিজেদের দখলে নিয়ে নেন এভিন লুইস। ৬টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ৫৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন লুইস। শিভম দুবেকে ১৯ তম ওভারে ২৫ রান তুলে খেলায় প্রায় যবনিকা টেনে দেন তিনি।