কলকাতা: কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) তাঁর কাছে নতুন দল। নতুন অভিজ্ঞতা। স্যাম বিলিংস (Sam Billings) অবশ্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন প্রত্যেকটি মুহূর্ত। ব্য়াট হাতে দলকে ভরসা দিচ্ছেন। চলতি আইপিএলে (IPL) ৪ ম্য়াচের পর তিনি কেকেআরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। আন্দ্রে রাসেলের ঠিক পরেই। পাশাপাশি উইকেটের পিছনেও গ্লাভস হাতে ভরসা দিচ্ছেন। রবিবার ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ নাইটদের। তার আগে উইকেটকিপিং থেকে শুরু করে কেকেআর পরিবার, জৈব সুরক্ষা বলয়ের চ্যালেঞ্জ, কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের আগ্রাসী মানসিকতা, সব কিছু নিয়েই এবিপি লাইভের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডা দিলেন ইংরেজ তারকা।
প্রশ্ন: চার ম্যাচে তিন জয়। কলকাতা নাইট রাইডার্স চলতি আইপিএলে যে ধরনের ক্রিকেট খেলছে, কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
স্যাম বিলিংস: আগ্রাসী ক্রিকেট খেলছে কেকেআর। ইতিবাচক ক্রিকেট খেলছে। খেলাটাকে সকলের জন্য উপভোগ্য করে তুলছে। দারুণ ক্রিকেট খেলছে। আর এর কৃতিত্ব ক্রিকেটারদের। আমাদের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামও দারুণ। ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। আমরা এভাবেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে যেতে বদ্ধপরিকর। প্রত্যেক ম্যাচ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছি। প্রতিপক্ষকে লাগাতার চাপে রেখে কোণঠাসা করে ফেলতে চাই।
প্রশ্ন: জৈব সুরক্ষা বলয়ে খেলোয়াড়দের জীবন কতটা কঠিন? বিশেষ করে বিদেশি ক্রিকেটারদের কাছে, যাঁদের অচেনা পরিবেশে এসে নিজের সেরাটুকু মেলে ধরার চ্যালেঞ্জ থাকছে?
বিলিংস: জৈব সুরক্ষা বলয় ভীষণ কঠিন। সকলের কাছেই এটা কঠিন অভিজ্ঞতা। গত আড়াই বছরে সব কিছু বদলে গিয়েছে। অনেক কঠিন পরীক্ষা দিতে হচ্ছে আমাদের। তবে খেলোয়াড় হোক বা সাধরণ মানুষ, জীবনে ভারসাম্যটাই আসল। আমাদের জন্য দল দারুণ ব্যবস্থা করেছে। খুব ভাল হোটেলে রয়েছি। সবরকম সুযোগসুবিধা রয়েছে। তবু বায়ো বাবল খুব কঠিন। আশা করছি এটাই আমাদের শেষবার জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা। এই অভিজ্ঞতা সত্যিই দুঃসহ। সকলের কাছেই।
প্রশ্ন: উইকেটকিপার হিসাবে আপনার প্রিয় কে?
বিলিংস: আমি অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ভক্ত। উনি এমন একজন, যিনি একার হাতে গোটা ক্রিকেটবিশ্বে উইকেটকিপিংয়ের সংজ্ঞাটাই পাল্টে দিয়েছেন। পাশাপাশি বলব গ্যারিন জোন্সের কথাও। কেন্টে যাঁর হাত ধরে আমার বাইশ গজে প্রবেশ। পাশাপাশি দলের সহকারী কোচ জেমস ফস্টারের কথাও বলব। উইকিটকিপারদের কোচ উনি। সবরকমভাবে সাহায্য করেন। উইকেটকিপারদের মধ্যে আমার দেখা অন্যতম সেরা রিফ্লেক্স ওঁর। ফস্টারের সঙ্গে কাজ করা দারুণ ব্যাপার। আমি এই তিনজনের কথাই বলব।
প্রশ্ন: ভারতে আইপিএলের জন্য দীর্ঘ সময় থাকতে হচ্ছে। মাঠের বাইরে সময় কাটান কীভাবে?
বিলিংস: ম্যাচ খেলার বাইরে ট্রেনিং আর জিমেই কেটে যায় বেশিরভাগ সময়। এর বাইরে বেশি সময়ই পাওয়া যায় না। প্যাটের (প্যাট কামিন্স) ঘরে কফি মেশিন রয়েছে। মাঝে মধ্যে ওর ঘরে গিয়ে কফি খেতে খেতে আড্ডা দিই। হয়তো একটু টিভি দেখি বা বিশ্রাম নিই।
প্রশ্ন: যখন কলকাতা নাইট রাইডার্স নিলাম থেকে প্রথমবার দলে নিল, টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে কী বলা হয়েছিল আপনাকে?
বিলিংস: আমাকে বলা হয়েছিল, ক্রিকেট উপভোগ করো। যেভাবে খেলতে ভালবাসো, সেভাবেই খেলো। কেকেআরের সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, ক্রিকেটারদের পরিবারের মতো মনে করে এবং সেরকমই একটা পরিবেশ তৈরি করে। ক্রিকেটারেরা সব সময় জানে যে, ওদের পিছনে সমর্থন করার জন্য গোটা একটা দল রয়েছে। সেটা দারুণ ব্যাপার। প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজি এক এক রকমভাবে দল চালায়। তবে কেকেআরের সাফল্যের সবচেয়ে বড় কারণই হল দলের এই সংহতি।
আরও পড়ুন: আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, হারের হ্যাটট্রিকের পর ড্রেসিংরুমে বললেন রোহিত