বেঙ্গালুরু: ২০০৮ সাল থেকে আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের অন্যতম যোদ্ধা ছিলেন। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে দেশের তারকা ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিও একজন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও এখনও ঘরোয়া ক্রিকেটে মিডল অর্ডারে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা অস্বাকীর করা যায় না। কিন্তু সুরেশ রায়না এরপরও উপেক্ষিত থাকলেন এবারে মেগা নিলামে। পরপর ২ বার বিড উঠলেও তাঁকে নেয়নি কোনও দলই। আর এরপরই নিলাম নিয়ে প্রশ্ন তুল দিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান (irfan pathan)।
আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বাধিক রান সংগ্রাহক রায়না। এই মরসুমের আগে পর্যন্ত কোনও নিলামেই অবিক্রিত ছিলেন না রায়না। কিন্তু এবার প্রথম দিনের পর দ্বিতীয় দিনেও কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখায়নি। এরপরই পাঠান বলেন, ''আমি এখনও মনে করি যে রায়নাকে যে কোনও দল নিতেই পারত। আমরা অনেক বিদেশি প্লেয়ারদের দেখি, যাঁদের বয়স ৪০ বা তার বেশিই। কিন্তু তাঁরা তো আইপিএলে খেলছে। কিন্তু একটা মরসুম খারাপ যাওয়ায় রায়নাকে এভাবে সরিয়ে দেওয় হল!''
২০২১ সালে আইপিএলে একদমই আশানরুপ ফল করতে পারেননি রায়না। ১২ ম্যাচে ১৭.৭৭ গড়ে মাত্র ১৬০ রান করেছিলেন। ঝুলিতে ছিল একটি মাত্র অর্ধশতরান। মোট ২০৪ জন প্লেয়ার এবারের নিলামে উঠেছিল। তাঁর মধ্যে ৬৭ জন বিদেশি প্লেয়ার। বাকিরা দেশের প্লেয়ার। এছাড়া ৭৬ জন অবিক্রিতই থেকে গিয়েছেন নিলামের শেষে।
এদিকে, এবারের আইপিএলে অংশ না নিলেও ৮ কোটি টাকায় জোফ্রা আর্চারকে দলে নিয়ে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। অর্থাৎ এই মরসুমে না হলেও পরের মরসুমে জশপ্রীত বুমরার সঙ্গে বোলিংয়ে ওপেন করতে দেখা যাবে জোফ্রা আর্চারকে। ইংল্যান্ডের তারকা পেসারকে পাওয়ার জন্য দর হাঁকিয়েছিল রাজস্থান রয়্য়ালস প্রথম থেকে। এই আগে আইপিএলে শুরু থেকে রাজস্থানের হয়েই খেলেছেন। কিন্তু তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিল দল। নিলামের থেকে আর্চারকে তুলে নেওয়ার একটা চেষ্টা করেছিল সঞ্জু স্যামসনের দল যদিও। তবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স যেন বধ্যপরিকর ছিল এই ডানহাতি পেসারকে দলে নেওয়ার ব্য়াপারে। মাঝে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ লড়াইয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে মুম্বইই।