মুম্বই: ধনশ্রী ভার্মা। ভারতীয় ক্রিকেট সম্পর্কে যাঁরা একটু আধটু খবর রাখেন, তাঁরা জানেন এই মানুষটিকে। তারকা স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের (Yuzvendra Chahal) স্ত্রী এই পরিচয়ের বাইরেও ধনশ্রীর নিজের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি নিজে একজন পেশায় চিকিৎসক ও কোরিওগ্রাফার। বিভিন্ন সময় সোশ্য়াল মিডিয়ায় অনেক বলি তারকার সঙ্গে ড্যান্সের ভিডিও পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে। কিছুদিন আগে বরুণ ধবনের সঙ্গেও একটি নাচের ভিডিও পোস্ট করেছিলেন তিনি। এবার ধনশ্রীকে দেখা গেল একদম অন্য অবতাকে। অসমের বিহু নাচে পা মেলাতে দেখা গেল চাহালের স্ত্রীকে। 


ধনশ্রীর বিহু নাচ


রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। মাঠের ব্যাটারদের সামনে যতবার বিপজ্জ্বনক হয়ে ওঠেন এই লেগি, ততবারই স্ট্যান্ডে দ্যুতি ছড়াতে দেখা গিয়েছে ধনশ্রীকে। রাজস্থান রয়্য়াল সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে দলের তরুণ অলরাউন্ডার রিয়ান পরাগ ধনশ্রীর সঙ্গে বিহু নাচ করছেন। আসলে রিয়ান নিজে অসমের ছেলে। তাই এই সংস্কৃতি সম্পর্কে ভীষণভাবে ওয়াকিবহাল। এর আগেও ২০২০ আইপিএলে ম্যাচ জেতানোর পর মাঠেই বিহু নাচ করতে দেখা গিয়েছিল যুব বিশ্বকাপজয়ী এই তরুণ ক্রিকেটারকে। এবার নিজে ধনশ্রীকে শিখিয়ে দিলেন সেই বিহু ডান্স। যদিও একেবারে অন্য ধাঁচের নাচে পা মেলালেও একবারের জন্যও অস্বস্থিতে মনে হল না ধনশ্রীকে। বরঞ্চ বেশ উপভোগ করেই বিহু নাচে পা মিলিয়েছেন চাহালের স্ত্রী। 



আজ রাজস্থানের সামনে গুজরাত


 পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা রাজস্থান এই ম্য়াচেও একটু এগিয়ে থেকেই মাঠে নামবে। রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধের একমাত্র হার বাদ দিলে টুর্নামেন্টে ব্যাটিং- বোলিং কোনও বিভাগেই দুর্বল মনে হয়নি স্যামসন বাহিনীকে। দলে স্পিন বিভাগ শক্তিশালী হয়ে যুজবেন্দ্র চাহাল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন যোগ দেওয়ার পরে। পেস বিভাগে ট্রেন্ট বোল্ট, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ দলের ভারসাম্য বাড়িয়েছেন। এছাড়াও ওপেনিংয়ে জস বাটলারের ধারাবাহিকতা রাজস্থানের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট। আজ যদিও রাজস্থান শিবিরে একটি পরিবর্তন হতে পারে। সেক্ষেত্রে দেবদত্ত পড়িক্কলকে ওপেনিংয়ে নামানো হতে পারে বাটলারের সঙ্গে। যশস্বী জয়সওয়ালকে বসানো হতে পারে। জিমি নিশাম ঢুকে পড়তে পারেন প্রথম একাদশে। 


অন্যদিকে, নিজেদের শেষ ম্যাচে গুজরাতকে হারতে হয়েছে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে। ৮ উইকেটে কমলা জার্সিধারীরা জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল হার্দিক পাণ্ড্যর দলের বিরুদ্ধে। গুজরাত শিবিরেরও শক্তি বোলিং ডিপার্টমেন্ট। পেস বিভাগে শামি, ফার্গুসনরা রয়েছেন। স্পিন বিভাগে রশিদ খান যে কোনও প্রতিপক্ষের কাছে আতঙ্ক। আগের ম্যাচে প্রথম স্পেলে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন হার্দিক নিজেও। পাওয়ার প্লেতে বল করেছিলেন তিনি। ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টে গিল-ওয়েড ওপেনিং জুটি গুজরাতকে প্রতি ম্যাচেই ভরসা জোগাচ্ছে।