মুম্বই: ব্যাট হাতে কাজটা করে দিয়েছিলেন রাসেল, রানা। কিন্তু বোলারদের কাজ ছিল বাকি। আর তা করতে গিয়েই নাকানিচোবানি খেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) বোলিং ব্রিগেড। সানরাইজার্সের হয়ে অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন রাহুল ত্রিপাঠী ও এইডেন মার্করম। ২ জনের ব্যাটিং বিক্রমেই কলকাতাকে হারিয়ে দিন সানরাইজার্স। ৭ উইকেটে জয় পেল কমলা জার্সিধারীরা। এদিকে ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলে চার নম্বরে নেমে গেল কেকেআর


ত্রিপাঠী, মার্করমের অর্ধশতরান


কলকাতার মতো সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্য়াটিংও শুরুটা ভাল হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই অভিষেক শর্মাকে ফিরিয়ে দেন প্যাট কামিন্স। কেন উইলিয়ামসনকে বোল্ড করে দেন আন্দ্রে রাসেল। এরপর যদিও ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থেকে ধীরে ধীরে কলকাতার থেকে ম্যাচ কেড়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেন রাহুল ত্রিপাঠী। এবারের নিলামের আগে ত্রিপাঠীকে ছেড়ে দিয়েছিল কেকেআর। এবার সেই দলের বিরুদ্ধেই ৩৭ বলে ৭১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ত্রিপাঠী। ৪টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকান তিনি। এইডেন মার্করম প্রথমদিকে একটু স্লথ খেললেও রাহুল ফিরে যেতেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনিও। ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংস খেলে কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন মার্করম। 


রাসেল, রানার অর্ধশতরান 


টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এদিন নাইট শিবিরে ৩টি বদল করা হয়েছিল রাহানের বদলে ওপেনিংয়ে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের সঙ্গী হয়েছিলেন অ্য়ারন ফিঞ্চ। এছাড়া দলে ঢুকেছিলেন শেল্ডন জ্যাকসন ও আমন হাকিম খান। কিন্তু কলকাতার জার্সিতে প্রথম ম্যাচ একদমই ভাল গেল না ফিঞ্চের। প্রথম ওভারে একটি ছক্কা হাঁকালেও পরের ওভারেই মাত্র ৭ রান করে প্য়াভিলিয়নে ফিরলেন অজি তারকা। এরপর ধারাবাহিকভাবে পরপর উইকেট হারাতে থাকে নাইটরা। প্যাভিলিয়নে ফেরেন ভেঙ্কটেশ, নারাইন। এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ও নীতিশ রানা। ২ জনে মিলে পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। তবে ইনিংসের দশম ওভারের শেষ বলে দুর্দান্ত ইয়র্কারে শ্রেয়সকে আউট করেন উমরান মালিক। শ্রেয়স ২৮ রান করেন। ব্যর্থ শেল্ডন জ্যাকসনও। তবে নীতিশ রানা এদিন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন। ৬টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন রানা। শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেল ২৫ বলে অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন।