মুম্বই: আইপিএলে দুরন্ত জয় পাঞ্জাব কিংসের। আরসিবিকে ৫৪ রানে হারিয়ে দিল ময়ঙ্ক আগরওয়ালের দল। প্লে অফের আরও কাছে তারা। কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে বড় ধাক্কা। চেন্নাইয়ের এই তারকার পারফরম্য়ান্সে হতাশ সেহওয়াগ। দেখে নিন আজকের আইপিএল হাইলাইটস।


৫৪ রানে আরসিবিকে হারাল পাঞ্জাব কিংস


ব্যাটে-বলে অনবদ্য লড়াই। আর শেষে দুরন্ত জয়। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (Royal Challengers Bangalore) বিরুদ্ধে ৫৪ রানের বড় ব্য়বধানে জয় ছিনিয়ে নিল ময়ঙ্ক আগরওয়ালের দল। আর সেই সঙ্গেই ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফে ওঠার লড়াই জমিয়ে দিল পাঞ্জাব কিংস। প্রথমে ব্যাট হাতে লিয়াম লিভিংস্টোন ও জনি বেয়ারস্টোর ঝোড়ো অর্ধশতরানের ওপর নির্ভর করে ২০৯ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল পাঞ্জাব কিংস। রান তাড়া করতে নেমে ২০ রানের মাথায় বিরাট আউট হন রাবাডার বলে। ডু প্লেসিও ১০ রান করে ফিরে যান। রজত পাতিদার ২৬ রান ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৩৫ রান করে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান বোর্ডে তুলে নেয়। রাবাডা একাই তিন উইকেট নেন। এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরে নিল পাঞ্জাব কিংস।


ব্র্যাভোর সমালোচনায় সেহওয়াগ


চেন্নাই বনাম মুম্বই ম্যাচ দেখার পর বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ''আমার মনে হয় ডোয়েন ব্র্যাভো চেন্নাই সুপার কিংসের এমন একজন বোলার যিনি দলের যখন দরকার, তখন কখনোই উইকেট পান না। আমার মনে হয় ব্র্যাভো তখনই উইকেট পায় যখন ওকে কোনও ব্যাটার আক্রমণ করে খেলতে যায়। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে যখন অষ্টম ওভারে নিয়ে আসা হয়েছিল ওকে, সেই সময় কোনও সম্ভাবনাই তৈরি করতে পারেনি ব্র্যাভো। ওকে খুব সহজেই খেলে দিয়েছে মুম্বইয়ের ব্যাটাররা। দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার হিসেবে তো ব্র্যাভোর দলের প্রয়োজনে সবসময় উইকেট তোলা উচিত। কিন্তু সেই কাজে ও ব্যর্থ।


চোটে পেয়ে আইপিএল শেষ কামিন্সের


কোমরের নিম্নাংশে চোটের জন্য় আইপিএল শেষ প্যাট কামিন্সের। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নিজের ৪ ওভারের স্পেলে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন কামিন্স। দেশ ছাড়ার আগে কামিন্স জানিয়েছেন, ''ভারতে দারুণ সময় কাটালাম আমি। আমি কেকেআরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে আমার ও আমার পরিবারের পাশে সবসময় থাকার জন্য। খেয়াল রাখার জন্য। দলের প্রত্যেক সদস্যকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই বাকি টুর্নামেন্টের জন্য। আমি অবশ্যই ম্যাচগুলো দেখব ও গলা ফাটাব দলের জন্য।'' উল্লেখ্য, মে মাসের শেষে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে হবে অস্ট্রেলিয়া দলকে। প্রায় ৬ সপ্তাহ ধরে চলবে এই সফর। শ্রীলঙ্কা সফরে অস্ট্রেলিয়া দলকে ৩টি টি-টোয়েন্টি, ৫টি ওয়ান ডে ম্যাচ ও ২টো টেস্ট খেলতে হবে। ৭ জুন শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হবে।