বেঙ্গালুরু: বল হাতে তিনি ভেল্কি দেখাতে পারেন। তাঁর কোন বল পড়ে যে ভিতরে আসবে, আর কোনটা বাইরে যাবে, ঠাহর করে উঠতে পারেন না তাবড় ব্যাটাররাও। যে কারণে তাঁকে বলা হয় বিস্ময় স্পিনার।
সেই সুনীল নারাইনকে (Sunil Narine) কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) জার্সিতে দেখা যায় দ্বৈত ভূমিকায়। বল হাতে প্রতিপক্ষের ত্রাস। ব্যাট হাতেও বিপক্ষ শিবিরের সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে পারেন। যেমন দিয়েছেন শুক্রবার। বেঙ্গালুরুর এমন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। যে মাঠ কেকেআরের পয়মন্ত মাঠ।
বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ব্যাটের ঝড়ও ম্লান হয়ে গিয়েছে ব্যাট হাতে নারাইনের দাপটে। ১৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২২ বলে ৪৭। ওপেনার নারাইনই ম্যাচের রিংটোন সেট করে দিয়ে যান। ফিল সল্টের সঙ্গে ৬.৩ ওভারে ৮৬ রান তুলে দেন ক্যারিবিয়ান তারকা। ওপেনিং জুটিই ম্যাচের রাশ কেকেআরের হাতে তুলে দেয়।
কীভাবে শুরু হল ওপেনিং? কখনও কি ব্যাটিংকে বোলিংয়ের মতোই গুরুত্ব দিয়েছেন? কেকেআরের ওয়েবসাইটে এক সাক্ষাৎকারে নারাইন বলেছিলেন, '২০১৭ সালে বিগ ব্যাশ লিগে আমি প্রথমবার ওপেন করি। পরের মরশুমে আইপিএলের সময় আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ওপেন করতে তৈরি কি না। আমি কেকেআরকে জানাই, দলের যা প্রয়োজন, আমি করতে রাজি। দলের জয়ে অবদান রাখতে পারলে আমি খুশি হব বলে জানাই। তখন গম্ভীর আমার কাছে আসে আর বলে, কিচ্ছু পাল্টাতে যেও না। মাঠে নেমে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলো শুধু। ক্রিজে গিয়ে আমাদের ভাল শুরু দেওয়ার চেষ্টা করো। গম্ভীর বলে, আউট হওয়া নিয়ে ভেবো না। তুমি যেটা পারবে সেটাই করো আর মনে রেখো, তুমি যাই করবে, সেটায় দলের ভাল হবে। সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা বড় রান তোলার চেষ্টা করব।'
খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথাও একবার ভেবেছিলেন নারাইন। তিনি বলেছেন, '২০০৯-১০ সাল নাগাদ খেলা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। কারণ, ত্রিনিদাদ দলে জায়গা পাচ্ছিলাম না। তবে বাবা পাশে দাঁড়ান। বলেন, সুযোগ আসবে। বাবা না থাকলে খেলা ছেড়েই দিতাম। কোনওদিনই আমার ওপর আস্থা হারাননি।' নারাইন যোগ করেছেন, 'বাবা মারা যাওয়ার সময় শপথ করেছিলাম যে, ব্যাটিংয়ে মন দেব। কারণ, বাবা বিশ্বাস করতেন আমি ভাল ব্যাটিংও করতে পারি।'
আরও পড়ুন: ম্যাচ হেরেও উপহার প্রতিপক্ষকে, মন জিতে নিলেন বিরাট, কুর্নিশ কেকেআরের
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে