লখনউ: এখনও পর্যন্ত মোট আট ওভার বল করেছেন আইপিএলে। একটি বলও ১৪০-র কম গতিতে করেননি। সবচেয়ে বড় কথা নাগাড়ে বল করে গিয়েছেন দেড়শোর বেশি স্পিডে। গতকাল আরসিবির (RCB vs LSG) বিরুদ্ধে তো ১৫৭ কিমি/ঘণ্টা গতিতে বল করে নিজের রেকর্ডই ভেঙে দিয়েছেন। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৩ উইকেট। গতকাল আরসিবির বিরুদ্ধেও ৩ উইকেট। আর সবগুলোই টপ অর্ডার ব্যাটার। বিশ্বজুড়ে বন্দিত হচ্ছেন ২১ বছরের তরুণ পেসার ময়ঙ্ক যাদব (Mayank Yadav)। লখনউ সুপারজায়ান্টসের (Lucnkow Supergiants) ডাগ আউট থেকে এবার তাঁকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে দেখতে চাইছেন অনেকেই। সাফল্য উপভোগ করছেন দিল্লির সনেট ক্লাবের এই তরুণও। গতকাল ম্য়াচের পর নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বিশেষ বার্তা দিলেন মা-কে। 


 






নিজের ইনস্টাগ্রামে উইকেট নেওয়ার পর একটি উচ্ছ্বাসের ছবি পোস্ট করে ময়ঙ্ক লিখেছেন, ''লুক মম, আই ক্যান ফ্লাই'' অর্থাৎ যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ''দেখো মা, আমি উড়তে পারি''। পোস্টের কমেন্টে অনেকেই ময়ঙ্কের প্রশংসা করে লিখেছেন যে ''তোমাকে আমরা ভারতীয় দলে দেখতে চাই'' , অনেকে তো আরও একধাপ এগিয়ে লিখেই ফেলেছেন যে, ''ভারতীয় দলে তোমাকে স্বাগত।''


আইপিএলের মঞ্চে এর আগেও এভাবে দুরন্ত গতি নিয়ে উত্থাণ হয়েছে উমরান মালিকের। জম্মু কাশ্মীর থেকে সানরাইজার্সের ডাগ আউট হয়ে জাতীয় দলের দরজাও খুলে গিয়েছিল মালিকের জন্য। কিন্তু অসম্ভব গতি থাকলেও বল নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না উমরান। এই একটা অভিযোগ বারবার উঠে এসেছে। যা সমস্যায় ফেলেছে উমরানকেও। কিন্তু ময়ঙ্কের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। গতি তো আছেন, এমনকী অসম্ভব নিয়ন্ত্রণ নিজের বলে। স্লোয়ার, বাউন্সারও প্রয়োজনমত করতে পারেন। যা দেখে সবাই ভাবছে যে কুড়ির ফর্ম্য়াটের বিশ্বকাপে সুযোগ মিলতে পারে তরুণের।


গতকাল আরসিবির বিরুদ্ধে নিজের চার ওভারের স্পেলে মাত্র ১৪ রান খরচ করে তিন উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। প্রথম শিকার হন গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল। গতির কাছেই মাথা নত করেন অজি তারকা। এরপর ক্যামেরন গ্রিনের অফস্ট্যাম্প ভেঙে দেন ময়ঙ্ক। শেষ উইকেট ছিল রজত পাতিদারের। ময়ঙ্কের দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদেই ম্য়াচ জিতে যায় লখনউ। ম্য়াচের সেরাও হন ময়ঙ্ক।