মুম্বই: টাইটানিক হিমশৈলে ধাক্কা খেয়েছিল একবার। তাতেই যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছিল। জাহাজের খোল ভেঙে হুহু করে জল ঢুকতে শুরু করে দিয়েছিল। হাজার প্রচেষ্টাতেও আর ভরাডুবি আটকানো যায়নি।
শুক্রবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইনিংস ধাক্কা খেল দু-দুবার। প্রথম ধাক্কা শুরুর ৩৭ বলে। যেখানে ৫৭ রান তুলতে গিয়ে ৫টি উইকেট হারিয়ে বসেছিল কেকেআর (MI vs KKR)। ওয়াংখেড়ে জুড়ে তখন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) সমর্থকদের গর্জন। কে বলবে যে, এই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্লে অফ ভাগ্যই ভেন্টিলেশনে। এবং প্লে অফের দিকে এক কদম বাড়িয়ে রেখেছে কেকেআর। বরং মনে হচ্ছিল, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সই ট্রফির দাবিদার। আর কেকেআর আন্ডারডগ।
শুরুর সেই বিপর্যয় অবশ্য সামলে দিয়েছিলেন বেঙ্কটেশ আইয়ার ও মণীশ পাণ্ডে। অঙ্গকৃষ রঘুবংশী আউট হওয়ার পর তাঁর পরিবর্তে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামানো হল অভিজ্ঞ মণীশকে। চলতি আইপিএলে পুরনো দলের জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নামলেন। ষষ্ঠ উইকেটে ৬২ বলে ৮৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে কেকেআরকে ম্যাচে ফেরালেন দুই ব্যাটার।
কিন্তু শেষ বেলায় ফের ধাক্কা। ২১ বলের ব্যবধানে বাকি ৫ উইকেট হারাল কেকেআর। দ্বিতীয় এই বিপর্যয় আর সামাল দেওয়ার মতো কেউ ছিলেন না। পুরো ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারলেন না নাইটরা। ১৯.৫ ওভারে ১৬৯ রানে অল আউট হয়ে গেল কেকেআর। ম্যাচ জিততে মুম্বইয়ের সামনে ১৭০ রানের লক্ষ্য।
ব্যাট হাতে সেরা লড়াইটা করলেন বেঙ্কটেশ। ফিল সল্ট-সুনীল নারাইনের শুরুর ক্ষেপনাস্ত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে। আন্দ্রে রাসেল-রিঙ্কু সিংহদের ব্রহ্মাস্ত্র নিক্ষেপই করা যায়নি, এতই দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন। পাঁচ নম্বরে নেমে ৫২ বলে ৭০ রান করে নাইটদের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ালেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। ৩১ বলে ৪২ রান করে তাঁকে সঙ্গত করলেন মণীশ পাণ্ডে। ২০১৪ সালে কেকেআরের শেষবার ট্রফি জয়ে ফাইনালে ঝলসে উঠেছিল যাঁর ব্যাট। মণীশ ও বেঙ্কির জন্যই লড়াই করার মতো স্কোর তুলল কেকেআর। নাইট বোলাররা পারবেন রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদবদের আটকে রাখতে?
আরও পড়ুন: কেন টি-২০ বিশ্বকাপের দলে নেই রিঙ্কু? কারণ ব্যাখ্যা করে দিলেন সৌরভ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।