জয়পুর: ম্যাচের শেষে রাজস্থান রয়্যালস(RR vs GT) অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে সম্প্রচারকারী চ্যানেলের সঞ্চালক জিজ্ঞেস করলেন, 'ম্যাচটা কোথায় হারলেন আপনারা?' সঞ্জুর জবাবই বলে দিচ্ছিল, কতটা রোমহর্ষক লড়াই দেখা গিয়েছে বুধবার সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামে। রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক বললেন, 'শেষ বলে।'


সত্যিই ম্যাচের ফয়সালা হল শেষ বলে। ১৯৭ রান তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে গুজরাত টাইটান্সের দরকার ছিল ১৫ রান। তিনটি চার মেরে দলকে জেতালেন ব্যাটার রশিদ খান। যিনি লেগস্পিন করে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে নিয়েছিলেন এক উইকেট। আর ইনিংসের বিরতিতে বলেছিলেন, 'আমি এখনও একশো শতাংশ দিতে পারছি না। বলা যেতে পারে ৯০-৯৫ শতাংশ দিচ্ছি।' জানার ইচ্ছে হতে পারে, ম্যাচের শেষে আফগান স্পিনার কী বলবেন?


ম্যাচের প্রথমার্ধ যদি হয় সঞ্জু স্যামসন ও রিয়ান পরাগের, দ্বিতীয়ার্ধ শুভমন গিল, রশিদ ও রাহুল তেওয়াটিয়ার। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৪৪ বলে ৭২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেললেন গিল। তবু ম্যাচ জেতার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল না গুজরাত। কারণ, কুলদীপ সেন।


আইপিএল যেন তারকা তৈরির মঞ্চ। এবারের আইপিএল মাঝপথও পেরোয়নি। ইতিমধ্যেই প্রচারের আলোয় একের পর এক নাম। ময়ঙ্ক যাদব, শশাঙ্ক সিংহ, আশুতোষ শর্মা, যশ ঠাকুর, নীতীশ রেড্ডি - তালিকাটা ক্রমশ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। যে তালিকায় নবতম সংযোজন কুলদীপ সেন। রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে যিনি বুধবার গতির আগুন ছোটালেন। ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার গতিতে বল করলেন। বৃষ্টিভেজা জয়পুরও সেই গতির উত্তাপ টের পেল। আর টের পেল গুজরাত টাইটান্স। নয় বলের ব্যবধানে তিন উইকেট তুলে নিয়েছিলেন কুলদীপ। তাঁর বলের গতির হদিশ পাচ্ছিলেন না গুজরাত ব্যাটাররা। একটা সময় ১৫৭/৬ হয়ে গিয়েছিল গুজরাত।


তবে শেষ পর্যন্ত রাহুল ও রশিদের জুটি ম্যাচ জেতাল গুজরাতকে। ১১ বলে ২২ রান করলেন রাহুল। ১১ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত রইলেন রশিদ। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। বাউন্ডারি মেরে দেন আফগান তারকা। টুর্নামেন্টে প্রথম হার রাজস্থানের। যদিও পাংচ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট সহ এখনও তালিকার শীর্ষে সঞ্জুরা। ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে উঠে এল গুজরাত।


আরও পড়ুন: একবেলা খাবার জোটাতে আম্পায়ারিং করতেন, সকালে রান করে বিকেলে বাদ! আইপিএল তারকার অজানা গল্প




আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।