হায়দরাবাদ: ম্যাচের শেষে কে এল রাহুলের (KL Rahul) চোখে মুখে বিস্ময়। লখনউ সুপার জায়ান্টসের (SRH vs LSG) অধিনায়ক বলছিলেন, 'অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ট্র্যাভিস হেড ও অভিষেক শর্মার।'
বিস্ময়ের রেশ মাঠে থাকা ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। টিভিতে বা ল্যাপটপ কিংবা স্মার্টফোনে যাঁরা খেলা দেখেছেন, তাঁরাও যেন চোখ কচলাচ্ছেন। লখনউ সুপার জায়ান্টসের ১৬৫/৪ স্কোর তাড়া করতে নেমে ৪৫ মিনিটে ম্যাচ জিতে নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ! ৯.৪ ওভারে। ৬২ বল বাকি থাকতে কোনও উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্যপূরণ হায়দরাবাদের। ১০ উইকেটে হারাল লখনউ সুপার জায়ান্টসকে। ৩০ বলে ৮৯ রানে অপরাজিত রইলের ট্র্যাভিস হেড। ২৮ বলে অপরাজিত ৭৫ রান অভিষেক শর্মার।
এদিন জেতায় ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এল হায়দরাবাদ। বাকি ২ ম্য়াচের একটিতে জিতলেই প্লে অফ কার্যত নিশ্চিত হয়ে যাবে প্যাট কামিন্সদের। হায়দরাবাদ এদিন জেতায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্লে অফের যে ক্ষীণ সম্ভাবনা হাওয়ায় ভাসছিল, তারও সলিল সমাধি।
১৬৭ রান - আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ১০ ওভারে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর (৯.৪ ওভার)। এই আইপিএলেই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১০ ওভারে ১৫৮/৪ তুলেছিল হায়দরাবাদ। নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভেঙে দিল হায়দরাবাদ। আইপিএলে একশোর বেশি রান তাড়া করার ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে বেশি বল বাকি থাকতে ম্যাচ জেতার নজির। ২০২২ সালে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ১১৬ রান তাড়া করতে নেমে ৫৭ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। সেটাই এতদিন ছিল নজির।
লখনউয়ের কাছে আগের তিন সাক্ষাতের তিনবারই হেরেছিল হায়দরাবাদ। সেই শাপমোচন হল বুধবার ঘরের মাঠে। আইপিএলে প্রথমবার লখনউকে হারাল হায়দরাবাদ।
বল হাতে হায়দরাবাদের নায়ক ভুবনেশ্বর কুমার। যিনি চার ওভারে মাত্র ১২ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন। তাঁর প্রথম স্পেলেই লখনউ ইনিংসের কোমড় ভেঙে যায়। সেখান থেকে আয়ুষ বাদোনি ও নিকোলাস পুরান অবিচ্ছেদ্য পঞ্চম উইকেটে ৫২ বলে ৯৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুললেও, তা লখনউকে ম্যাচ জেতানোর পা নিদেনপক্ষে লড়াইয়ে রাখার জন্যও যথেষ্ট ছিল না।
আরও পড়ুন: মাঠ ছেড়ে বেরোও... প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে বেনজির আক্রমণ IPL দলের মালিকের
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
রোল নম্বর দিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের রেজ়াল্ট দেখুন: