জেড্ডা: ২০২২ সালে শেষবার জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছিলেন। কিন্তু এরপর থেকে ওয়ান ডে হোক বা টি-টোয়েন্টি, জাতীয় দলে ব্রাত্য তিনি। কিন্তু আইপিএলের মঞ্চে বরাবরই তিনি ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। ওপেনিং ওভার হোক বা ডেথ ওভার ভুবনেশ্বর কুমারের স্যুইংয়ের সামনে বারবার নাস্তানাবুদ হতে হয় তাবড় তাবড় ব্যাটারদের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ রিটেন করেনি এবার ভুবনেশ্বরকে। কিন্তু ৩৪ বছরের তারকা পেসারকে নিয়ে যে নিলামের টেবিলে ঝড় উঠবে, তার আন্দাজ মিলেছিল। সেই মতই নিলামের দ্বিতীয় দিনে ১০.৭৫ কোটি বিশাল মূল্যেই আরসিবি দলে নিল তারকা পেসারকে। ফের বিরাটের সঙ্গে একই শিবিরে খেলতে দেখা যাবে এই স্যুইং মাস্টারকে।
আইপিএলের নিলামে এবার ২ কোটি টাকা বেস প্রাইস ছিল ভুবনেশ্বর কুমারের। তাঁর নাম উঠতেই প্রথমেই মুম্বই প্রথম দল হাঁক তারকা পেসারের জস্য। ২.২০ কোটি টাকা থেকে লখনউ সুপারজায়ান্ট যোগ দেয় দৌড়ে। এরপর সেই দৌড় পৌঁছয় ১০ কোটিতে। মনে করা হয়েছিল যে ভুবনেশ্বরের জন্য খুব বেশিদূর এগোবে না কোনও ফ্র্য়াঞ্চাইজি। সেক্ষেত্রে কেকেআর তাঁদের স্বল্প সামর্থ্যের মধ্যেই স্যুইং মাস্টারকে পেয়ে যাবে। কিন্তু দর ১০ কোটি পেরিয়ে যাওয়ায় কেকেআরকে আর দেখা যায়নি। তবে দৌড়ে হঠাৎ করেই ঢুকে পড়ে আরসিবি। আর ১০ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় শেষ পর্যন্ত ভুবনেশ্বরকে তুলে নেয় তাঁরা। আরসিবি শিবিরে বিরাটের পাশাপাশি ভুবনেশ্বরের অভিজ্ঞতাও কাজে আসবে।
অলরাউন্ডারদের মধ্যে তার আগেই ক্রুণাল পাণ্ড্য়কে দলে নিয়েছিল ভুবনেশ্বর কুমার। ৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় বঢোদরার অলরাউন্ডারকে দলে নিয়েছিল আরসিবি। অন্য়দিকে কেকেআরের ব্যাটিং অস্ত্র নীতিশ রানাকে ৪.২০ কোটি টাকায় নীতীশ রানাকে নিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। এদিকে নিলামের দ্বিতীয় দিনে ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় ওয়াশিংটন সুন্দরকে কিনল গুজরাত। ২.৪০ কোটি টাকায় স্যাম কারানকে কিনল সিএসকে। ৭ কোটি টাকায় মার্কো জানসেনকে কিনল পাঞ্জাব কিংস। অবিক্রিত থেকে গেলেন ডারিল মিচেল। দল পেলেন না অ্যালেক্স ক্যারি, ডন ফেরেরা। সাড়ে ৬ কোটি টাকায় তুষার দেশপাণ্ডেকে দলে নিল রাজস্থান। ২.৪ কোটিতে জেরাল্ড কোয়েৎজে-কে নিল গুজরাত টাইটান্স। মুম্বইয়ের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অজিঙ্ক রাহানে ও তরুণ ওপেনার পৃথ্বী শ অবশ্য নিলাম থেকে কোনও দল পাননি। ৮ কোটি টাকায় মুকেশ কুমারকে কিনল দিল্লি ক্যাপিটালস। ৯ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় দীপক চাহারকে কিনল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।