চেন্নাই: আইপিএলে (IPL 2025) আজ চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (CSK vs RCB) একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। এই ম্যাচে দুই দলের অধিনায়কের দায়িত্বে যেই থাকুক না কেন, ম্যাচটিকে কিন্তু ধোনি বনাম কোহলির দ্বৈরথ হিসাবেই গণ্য করা হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই বিরাট কোহলির দিকে বাড়তি নজর থাকেই। তাঁর প্রতিটি কর্মকাণ্ডে নজর থাকে। আজকের ম্যাচ শুরুর আগে কোহলির এমনই এক কাণ্ড সকলের মন জিতল।
সিএসকে বনাম আরসিবি ম্যাচের আগে চিপকের বাউন্ডারি লাইনের ধারে থ্রো ডাউনে নিজের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারছিলেন কোহলি। ঠিক তখনই তাঁর দিকে এগিয়ে যান 'মিস্টার আইপিএল' তথা সিএসকে প্রাক্তনী সুরেশ রায়না। রায়নাকে দেখামাত্রই নিজের অনুশীলন থামিয়ে দেন 'কিং কোহলি'। দুইজন একে অপরকে আলিঙ্গন ও সৌজন্য বিনিময় করেন। তারপরেই কোহলি আবার নিজের ব্যাটিং করা শুরু করেন। এই মুহূর্তটি স্বাভাবিকভাবেই ক্যামেরাবন্দি হয় এবং মুহূর্তেই তা ভাইরালও হয়ে যায়।
এদিন অবশ্য ব্যাট হাতে খুব একটা নজর কাড়তে ব্যর্থ হন কোহলি। ৩০ বলে ৩১ রান করে ফেরেন। মাথিশা পাথিরানার বল হেলমেটে আছড়ে পড়েছিল তাঁর। পরের বলে হুক করে পাথিরানার বাউন্সার মাঠের বাইরে ফেললেও, নিজের ছন্দে ছিলেন না কিং। তবু বোর্ডে বড় রান তুলল আরসিবি। কোহলিরা তুললেন ১৯৬/৭। টস জিতে আরসিবিকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন সিএসকে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। শুরুতেই ঝড় তুলেছিলেন আরসিবি-র ওপেনার ফিল সল্ট। কোহলি অবশ্য শুরু থেকেই ছন্দ হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন।
মাত্র ৫ ওভারের ৪৫ রান তুলে নেয় আরসিবি। তবে পঞ্চম ওভারের শেষ বলে তাদের প্রথম ধাক্কা দেন নূর আমেদ। আফগান স্পিনার তুলে নেন ফিল সল্টকে। ১৬ বলে ৩২ রান করে ফেরেন ইংরেজ তারকা। যদিও উইকেটটি যতটা নূরের, ততটাই হয়তো মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরও। নূরের গুগলি ধোঁকা দিয়েছিল সল্টকে। বিদ্যুতের গতিতে সেই বল ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন তেতাল্লিশের ধোনি। প্রথম ম্যাচে সূর্যকুমার যাদবের দুরন্ত স্টাম্পিং করেছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচেও গ্লাভস হাতে উইকেটের পিছনে অনবদ্য মাহি।
মাঝের ওভারে আরসিবি-কে টানলেন দেবদত্ত পাড়িক্কল ও রজত পাতিদার। ১৪ বলে ২৭ রান করলেন দেবদত্ত। ৩২ বলে জোড়ো ৫১ রান অধিনায়ক পাতিদারের। শেষ দিকে ৮ বলে অপরাজিত ২২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন টিম ডেভিড। যদিও শেষ লগ্নে পরপর উইকেট হারাল আরসিবি। আফগান স্পিনার নূর আমেদ নিলেন ৩৬ রানে ৩ উইকেট। নাথান এলিসের পরিবর্তে শ্রীলঙ্কার পাথিরানাকে এই ম্যাচে সুযোগ দেয় সিএসকে। ৩৬ রানে ২ উইকেট নেন তিনি।