হায়দরাবাদ: মাত্র দুই রানের জন্য সর্বকালীন রেকর্ড হাতছাড়া হল। নিজেদের আইপিএলের ইতিহাসে দলগতভাবে সর্বোচ্চ ২৮৭ রানের রেকর্ডের থেকে এক রান আগে থামল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ছয় উইকেটের বিনিময়ে ২৮৬ রানে থামল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (SRH vs RR) ইনিংস। সেঞ্চুরি হাঁকালেন ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan)। 


এবারের আইপিএল (IPL 2025) শুরুর আগে হেনরিখ ক্লাসেন, ট্র্যাভিস হেডদের মুখে শোনা গিয়েছিল ৩০০-র হুঙ্কার। গত মরশুমে নিজেদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সকলকে স্তম্ভিত করেছিল সানরাইজার্স। বলে বলে দু'শো রানের গণ্ডি পার করছিল প্যাট কামিন্সের দল। ওই মরশুমেই তো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে সর্বকালীন রেকর্ড ২৮৭ রান তুলেছিল নিজামের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজি। এ বছরও যে তাঁরা সেইরকমভাবেই নিজেদের ক্রিকেটটা খেলবেন তা প্রথম ম্যাচেই বুঝিয়ে দিলেন হেডরা, ঈশান কিষাণরা।


 






মারকাটারি মেজাজে ইনিংসের শুরুটা করেছিলেন হেড এবং অভিষেক শর্মা। অবশ্য অভিষেকের ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ২৪ রানেই থামতে হয় তাঁকে। তবে হেড ও ঈশান কিষাণ বিধ্বংসী মেজাজে ব্য়াটিং চালিয়ে যান। মাত্র ২১ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন হেড। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারেই ৯৪ রান তুলে ফেলে সানরাইজার্স। হেডকে তুষার দেশপাণ্ডে ৬৭ রানে ফেরালেও ঈশান কিষাণ কিন্তু থামেননি। তিনি বিধ্বংসী ব্যাটিং চালিয়ে যান। ২৫ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি।  


হেনরিখ ক্লাসেন ও নীতীশ রেড্ডি বড় রান করতে না পারলেও, ঈশান কিষাণকে যোগ্য সঙ্গ দেন। রানের গতি যাতে কোনওভাবেই না কমে, সেইদিকে নজর রাখেন তাঁরা। ক্লাসেন ১৪ বলে ৩৪ ও নীতীশ ১৫ বলে ৩০ রান করেন। শতরানের কাছাকাছি পৌঁছলেও কিন্তু ঈশান এদিন থামেননি। পরিস্থিতি অনুযায়ী যা প্রয়োজনীয় ছিল, তেমনই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং করে যান তিনি। দশটি চার ও ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৪৫ বলে আসে তাঁর প্রথম আইপিএল সেঞ্চুরি। 


ইশান শেষমেশ ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন। রাজস্থানের জার্সিতে নিজের প্রত্যাবর্তন ম্যাচে রেকর্ড গড়লেন জোফ্রা আর্চার। তবে এ রেকর্ড লজ্জার। নিজের চার ওভারে কোনও উইকেট না নিয়ে ৭৬ রান খরচ করেন তিনি। এক ম্যাচে চার ওভারে এত রান আর কোনও বোলার খরচ করেননি। মোহিত শর্মার রেকর্ড ভাঙলেন আর্চার। রাজস্থানের সামনে ম্যাচ জয়ের জন্য সর্বকালীন আইপিএল রেকর্ড ২৮৭ রান করতে হবে। রবিবাসরীয় সন্ধেতে সঞ্জু স্যামসনরা ইতিহাস গড়তে পারেন কি না, এখন সেটাই দেখার।