কলকাতা: গত বারের চ্যাম্পিয়ন দলের নতুন অধিনায়ক তিনি। প্রত্যাশার চাপ তো আছেই। মরশুমের প্রথম আইপিএল (IPL 2025) ম্যাচেই আবার বিরাট কোহলিদের শক্তিশালী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (KKR vs RCB) কড়া চ্যালেঞ্জ। অজিঙ্ক রাহানের (Ajinkya Rahane) কাজটা কিন্তু একেবারেই সহজ নয়। অবশ্য অতীত দেখে একটা বিষয় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, রাহানে কিন্তু প্রচেষ্টায় খামতি রাখবেন না।


নিয়মানুবর্তিতা, অনুশাসন, 'পারফেক্ট জেন্টালম্যান' রাহানের সঙ্গে কিন্তু এই বিশেষেণগুলি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিও দেখে দাবি করা হচ্ছে রাহানে নাকি অনুশীলনের জন্য়ই দেরি করে ফেলেছিলেন। ভিডিওতে কেকেআরের অনুশীলন জার্সি গায়ে, ব্যাট হাতে নাইট অধিনায়ককে ছুটতে দেখে সকলের ধারণা রাহানে সম্ভবত টিম বাসে উঠতে দেরি করে ফেলেছিলেন এবং তাঁকে ছাড়াই বাস এগিয়ে যাচ্ছিল। সেই কারণেই ছুট লাগান তিনি। অবশ্য এই তত্ত্বের সত্যতা যাচাই করা হয়নি। এই বিষয়টা খানিকটা যে রাহানের স্বভাববিরুদ্ধে তা বলাই বাহুল্য়।


 






অপরদিকে, ২২ গজে নাইটদের এই ম্যাচ ঘিরে যত সংশয়। কারণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস। গতকাল থেকেই কলকাতায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা-সহ বাকি জেলাগুলিতেও আজও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে।  সেই সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। আগামীকালও বৃষ্টি চলবে বলে জানা গিয়েছে। জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরেই আবহাওয়ার এমন পরিবর্তন। বৃষ্টির জেরে গতকাল রাতেই কলকাতার তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি কমে যায়। শহরের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এই মুহূর্তে স্বাভাবিকের চেয়ে নীচে। শনিবার সকাল থেকেও আকাশ পুরোপুরি মেঘলা। এদিন ভোরেও বৃষ্টি হয়েছে।


যদিও বর্তমানে আকাশের মুখ ভার খানিকটা হলেও কমেছে। থেমেছে বৃষ্টিও। তবে ম্যাচ চলাকালীন কিন্তু বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।  ইডেন গার্ডেন্সের মাঠ তৈরি ও পরিচর্যায় সেনাপতি যিনি, সেই সুজন মুখোপাধ্যায় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। তাঁর ভরসা একশো বিশ্বস্ত সৈন্য। সঙ্গে প্রযুক্তি। ম্যাচ কিছুতেই বানচাল হতে দিতে চান না ইডেনের কিউরেটর। যিনি বোর্ডের পিচ কমিটির সদস্যও।


তিনি বলেন, 'আমরা তৈরি থাকছি। এই ম্যাচের জন্য একশোজন মাঠকর্মী রাখা হচ্ছে। ইডেনের নিজস্ব মাঠকর্মীরা তো আছেই, পাশাপাশি কল্যাণী, সল্ট লেক-সহ বিভিন্ন মাঠ থেকে কর্মীদের নিয়ে আসা হচ্ছে। সঙ্গে থাকছে আধুনিক কভার, ৪টি সুপার সপার। বৃষ্টি চলতে থাকলে তো কারও কিছু করার নেই। তবে থামলে ৪০ মিনিটের মধ্যে ম্যাচ শুরু করে দিতে পারি। কোনওভাবেই চাইব না এত প্রস্তুতি বৃথা যাক।' এবার দেখার প্রকৃতির সঙ্গে হার না মানা এই লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসে।