আমদাবাদ: সামনে ছিল রেকর্ড রানের লক্ষ্যে। সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর উদ্দেশ্যে শুভমন গিল, রাদারফোর্ড, জস বাটলার (Jos Buttler), সাই সুদর্শনরা (Sai Sudarshan)। তবে শেষরক্ষা হল না। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ২৪৪ রান তাড়া করতে নেমে ২৩২ রানেই থামল গুজরাত টাইটান্সের ইনিংস (Gujarat Titans vs Punjab Kings)। বল হাতে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে ৩৬ রানের বিনিময়ে দুই উইকেচ নিয়ে সফলতম বোলার অর্শদীপ সিংহ।


বড় রান তাড়া করতে নেমে গুজরাত শুরুটা খানিকটা দেখেশুনে করে। তবে গিল ও সুদর্শন ওপেনিংয়ে ৬১ রানের যোগ করেন। তবে ম্যাক্সওয়েলের বলে বড় শট মারতে গিয়ে ৩৩ রানে গিল আউট হন। তাতে অবশ্য রানের গতি কমেনি। বাটলার ও সুদর্শন দুরন্ত গতিতে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। ৩০ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন সুদর্শন। তিনি ৭৪ রানে ফিরলে রাদারফোর্ডের সঙ্গে মিলে লড়াই চালান বাটলার। একসময় তো পাঞ্জাবের তুলনায় রানের নিরিখে এগিয়েই ছিল গুজরাত। তবে সামনে বিশাল লক্ষ্য। নাগাড়ে বড় শট খেলে যেতে হত। তবে বাটলার ৫৪ রানে আউট হলে সেই গতি কমে। শেষে রাদারফোর্ডও ৪৬ রানে ফেরে। কিন্তু এই লড়াই জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ১১ রানে ম্যাচ জেতে পাঞ্জাব।


এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাবের শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি। প্রভসিমরণ সিংহ মাত্র পাঁচ রানেই সাজঘরে ফেরেন। তবে অপর ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য কিন্তু নিজের প্রথম আইপিএল ম্যাচ খেলতে নেমে নিজের স্বাভাবিক মেজাজে ব্যাটিং করেন। একের পর এক বল বাউন্ডারি পার করান। তবে দুর্ভাগ্যবশত অর্ধশতরানের দোরগোড়ায়, ৪৭ রানে তাঁকে সাজঘরে ফিরতে হয়। রশিদ খান গুজরাতকে সাফল্য এনে দেন। ওমরজ়াই স্বদেশীয় রশিদকে ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করলেও ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। তার ঠিক পরের বলেই খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পরপর দুই বলে সাই কিশোর দুই বিদেশিকে ফেরানোয় ম্যাচের রাশ কিন্তু গুজরাতের হাতেই এসে গিয়েছিল।


কিন্তু পাল্টা আক্রমণ চালান শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। প্রথমে মার্কাস স্টোইনিসকে সঙ্গে নিয়ে ৫৭ রানের পার্টনারশিপে ইনিংসকে স্থিরতা প্রদান করেন, তারপর শশাঙ্ক সিংহের সঙ্গে মিলে কার্যত তাণ্ডব চালান। শ্রেয়সের ব্যাটিং বিক্রমে কেউই রেহাই পাননি। রশিদ খান, মহম্মদ সিরাজদের তো এক সময় কার্যত অসহায় দেখাচ্ছিল। শ্রেয়সই কোনও সময়ই বিন্দুমাত্র থামার কোনওরকম ইঙ্গিত দেখাননি। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে যখন তিনি এক রান নিয়ে অপর প্রান্তে পৌঁছন, তখন তাঁর নামের পাশে লেখা ৯৭। সকলেই মনে করছিলেন শ্রেয়সের কেরিয়ারের প্রথম আইপিএল শতরান হাঁকানো সময়ের অপেক্ষা। 


তবে ইনিংসের শেষ সাত বলের একটিও খেলার সুযোগই পেলেন না শ্রেয়স। অপরপ্রান্তেই তাঁকে দাঁড়িয়ে থাকতে হল। ফলে ৯৭ রানেই অপরাজিত থেকে গেলেন তিনি। অবশ্য দলের তাতে লোকসান হয়নি। শশাঙ্ক অপরপ্রান্তে চারের বন্যা বইয়ে দেন। সিরাজের শেষ ওভারে ২৩ রান তোলেন তিনি। অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। শেষের ওভারগুলিতে পাঞ্জাবের বিধ্বংসী ব্যাটিং এবং নিয়ন্ত্রিত বোলিংই সম্ভবত ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিল।