বেঙ্গালুরু: পঞ্জাব কিংস তাঁকে রিটেন করেনি। কে এল রাহুলকে (KL Rahul) এবার তুলে নিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস (Lucknow Super Giants)। তাঁকে দলের অধিনায়কও করা হয়েছে। তবে রাহুলকে চাপমুক্ত হয়ে ক্রিকেট খেলতে দিতে চায় আইপিএলের নবাগত ফ্র্যাঞ্চাইজি। অধিনায়কত্ব ও ব্যাটিং নিয়েই ভাবুন রাহুল, উইকেটকিপিং নিয়ে তাঁকে ভাবতে হবে না, এমনই অবস্থান নিয়েছে এলএসজি।


দলের মেন্টর গৌতম গম্ভীর বলেছেন, 'আমরা কুইন্টন ডি'ককের মতো কাউকে চেয়েছিলাম। কারণ কে এলকে উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিতে চেয়েছিলাম। কারণ উইকেটকিপিং, নেতৃত্ব ও ব্যাটিং, সব একসঙ্গে করাটা চাপের। সেই কারণেই কুইন্টনকে নেওয়া।'


তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছিল প্রবল দর কষাকষি। দীপক চাহার (Deepak Chahar) অবশ্য বেশ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন। বিশেষ করে তাঁর দাম ১৩ কোটি ছাড়াতেই ঘাবড়ে যান জাতীয় দলের তারকা।


কিন্তু কেন?


রবিবার, নিলামের দ্বিতীয় দিন চাহার নিজেই শুনিয়েছেন সেই অভিজ্ঞতার কথা। বলেছেন, 'জাতীয় দলের জৈব সুরক্ষা বলয়ে আছি। হোটেলে নিজের ঘরে বসে নিলাম দেখছিলাম। যখন আমার দাম ১৪ কোটিতে উঠে যায়, ভাবছিলাম এর চেয়ে বেশি পাওয়া উচিত নয়। চেন্নাই সুপার কিংস যদি দর কষাকষি থেকে সরে দাঁড়াত আমার খুব কারাপ লাগত। আমি সিএসকে-র হয়েই খেলতে চেয়েছিলাম কারণ হলুদ জার্সি ছাড়া নিজেকে ভাবতে পারি না। একবার মনে হয়েছিল অনেক বেশি দাম উঠে গিয়েছে। মনে হচ্ছিল, সিএসকে-র দলটাও ভাল হওয়া উচিত। ১৩ কোটি দাম উঠে যাওয়ার পরেই মনে হচ্ছিল এবার থামুক। তাহলে সিএসকে আরও কিছু ক্রিকেটার কিনতে পারবে।'


রাহানেকে ১ কোটিতে তুলে নিল কেকেআর, হয়তো বেঙ্কটেশের সঙ্গী ওপেনার


এদিকে, গতবার তাঁর নেতৃত্বে কেকেআর (KKR) আইপিএলে রানার্স হয়েছিল। তবে তাঁর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বলার মতো ছিল না। তবুও কেকেআর ম্যানেজমেন্ট ভরসা রেখেছিল অইন মর্গ্যানের ওপর। যদিও তাঁকে রিটেন করা হয়নি।