আবু ধাবি: শেষ তিন ওভারে দরকার ২২ রান। এবং হাতে ৯ উইকেট। ক্রিজে দুরন্ত ফর্মে থাকা কে এল রাহুল। সঙ্গী নিকলাস পুরানও ছন্দে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অতি বড় সমর্থকও ভাবতে পারেননি যে, এখান থেকে জয়ের স্বপ্ন দেখা সম্ভব।


সেই অসম্ভবকেই সম্ভবপর করল কেকেআর। শেষ তিন ওভারে উঠল যথাক্রমে ২, ৬ ও ১১ রান। পঞ্জাবকে হারাতে হল চার উইকেট। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কেকেআর মাত্র ২ রানে হারিয়ে দিল পঞ্জাবকে।

ব্যাটে বড় রান পাচ্ছিলেন না। তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। অনেকেই দাবি তুলেছিলেন যে, অবিলম্বে দলের নেতৃত্বের ভার তুলে দেওয়া হোক অইন মর্গ্যানের হাতে। শনিবার কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে সেই দীনেশ কার্তিক ২৯ বলে করলেন ৫৮ রান। ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। শুবমান গিল ওপেন করতে নেমে করলেন ৪৭ বলে ৫৭ রান। দুজনের লড়াইয়ে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথম ব্যাট করে কলকাতা নাইট রাইডার্স তুলল ১৬৪/৬।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করে পঞ্জাব। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সুযোগ গিয়েছিলেন কে এল রাহুল। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে তাঁর ক্যাচ ফেলেন আন্দ্রে রাসেল। রাহুলের তখন রান মাত্র ২। সেখান থেকে ৫৮ বলে ৭৪ রান করে যান পঞ্জাব অধিনায়ক। তাঁর সঙ্গী ওপেনার ময়ঙ্ক অগ্রবাল ৩৯ বলে ৫৬ রান করেন। দুই ওপেনারের দাপটে এক সময় ১৪.২ ওভারে বিনা উইকেটে ১১৪ রান তুলে ফেলেছিল পঞ্জাব। দুজনকেই ফেরান প্রসিদ্ধ।

১৮তম ওভারে মাত্র ২ রান খরচ করে পুরানকে ফেরান নারাইন। পরের ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করে প্রভসিমরন সিংহ ও রাহুলকে আউট করেন প্রসিদ্ধ। তাঁর স্লোয়ার ফুলটসে প্লেড অন হয়ে যান রাহুল। শেষ ওভারে জয়ের জন্য পঞ্জাবের দরকার ছিল ১৪ রান। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল চেষ্টা করলেও নারাইনের ওভারে ১১ রান তোলে পঞ্জাব। ম্যাচ টাই করে সুপার ওভারে নিয়ে যাওয়ার জন্য শেষ বলে ৬ রান দরকার ছিল। ম্যাক্সওয়েল চার মারেন। বাউন্ডারি লাইনের মাত্র ২ ইঞ্চি আগে পরে তাঁর শট। নাটকীয়ভাবে ২ রানে ম্যাচ জিতে নেয় কেকেআর। ম্যাচের সেরা হয়েছেন দীনেশ কার্তিক।