চেন্নাই: আইপিএলে প্রথম ম্য়াচের প্রথম ইনিংসেই বড় রান উঠল বোর্ডে। সিএসকের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৭৩/৬ বোর্ডে তুলে নিল। শুরুতেই ফাফ ডু প্লেসির আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। এরপর মুস্তাফিজের বিধ্বংসী বোলিংয়ে দ্রুত পাঁচ উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। এরপর দীনেশ কার্তিক-অনুজ রাওয়াতের ৯৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। যার সুবাদে ১৭৩/৬ বোর্ডে তুলে নেয় আরসিবি।


 






এদিন প্রথমে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফাফ ডু প্লেসি। বিরাট কোহলির সঙ্গে ওপেনে নেমেছিলেন প্রোটিয়া তারকা। শুরুর চার ওভার ব্য়াট হাতে ঝড় তুলছিলেন ফাফ। বিরাট স্ট্রাইকে আসারই সুযোগ পাচ্ছিলেন না। প্রথম চার ওভারেই চল্লিশের গণ্ডি পেরিয়ে  গিয়েছিল সিএসকে। সেখান থেকে ফাফকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখার মুস্তাফিজুর। নিজের ইনিংসে কোনও ছক্কা না হাঁকালেও ৮টি বাউন্ডারি হাঁকান প্রাক্তন প্রোটিয়া অধিনায়ক। কিন্তু ফের একটি বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তিনি। কোহলি ২০ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলেন। মুস্তাফিজুরের বলে একটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। সেই একই ভাবে দ্বিতীয় ছক্কা হাঁকাতে দিয়ে রাহানের হাতে জমা পড়েন কিং কোহলি। তবে এর মধ্য়েই রেকর্ড বুকে নাম লিখিয়ে নেন বিরাট। প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে কুড়ির ফর্ম্যাটে ১২ হাজার রান পূরণ করেন বিরাট। বিরাট ফেরার আগেই খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়ন ফেরেন ম্য়াক্সওয়েল ও পাতিদার। ১৮ রান করে গ্রিন প্যাভিলিয়নে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। তাঁকেও ফেরান মুস্তাফিজুর। এরপর ক্রিজে এসে দীনেশ কার্তিক ও অনুজ রাওয়াত মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন। ৭৮ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছিল আরসিবির। সেখান থেকে দলের স্কোর ১৭৩ এ পৌঁছে দেন এই জুটি। ৯৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন কার্তিক ও রাওয়াত। তুষার দেশপাণ্ডের ওপর যেন বেশি নির্দয় ছিলেন এই দুই ব্যাটার। তুষার নিজে ৪ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৪৭ রান খরচ করেন। অনুজ রাওয়াত ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। নিজের ইনিংসে চারটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি। দীনেশ কার্তিক ২৬ বলে ৩৮ রান করেন। ৩টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। চেন্নাইয়ের সবচেয়ে সফল বোলার মুস্তাফিজুর। তিনি নিজের চার ওভারের স্পেলে ২৯ রান খরচ করে ৪ উইকেট নেন।