সন্দীপ সরকার, কলকাতা: সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ (Syed Mushtaq Ali T20) ট্রফি চলছে রমরমিয়ে। পরের বছর দেশের মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপ। তার আগে বিভিন্ন রাজ্য দলের টি-২০ ক্রিকেটারদের এক ঝলকে দেখে নেওয়ার সেরা সুযোগ নির্বাচকদের কাছেও।

Continues below advertisement

অথচ তিনি, ভারতীয় দলের প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর কোথায়! ভারতীয় দলের প্রত্যেক বিদেশ সফরে নিয়মিতভাবে থাকেন আগরকর। জাতীয় দলের সঙ্গে কার্যত লেপ্টে থাকতে দেখা যায় নির্বাচক প্রধানকে। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা টি-২০ টুর্নামেন্টে আগরকরকে কোনও মাঠে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ নেই। আগরকরকে নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে যে ক্ষোভের চোরাস্রোত বইছে, তা আরও খরস্রোতা হয়ে উঠছে কোনও মাঠে প্রধান নির্বাচককে না দেখে।

সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টের এলিট গ্রুপ বি পর্বের খেলা চলছে কলকাতায়। ইডেন গার্ডেন্স ও সল্ট লেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ মিলিয়ে মোট ২৮টি ম্যাচ খেলা হবে। সেখানে অজিত আগরকর তো দূর অস্ত, জাতীয় নির্বাচক কমিটির কাউকেই চোখে পড়ছে না।

Continues below advertisement

আইপিএলের দলগুলি অবশ্য হাত গুটিয়ে বসে নেই। কলকাতায় পাঠিয়ে দিয়েছে তাদের স্কাউটিং টিমকে। যাদের কাজ হল সব ম্যাচ দেখা এবং নতুন কাউকে মনে ধরলেই নোটবুকে তা লিখে রাখা। আসন্ন মিনি নিলামে কাদের পেতে ঝাঁপানো হবে, তার একটা নীল নকশা মোটামুটিভাবে এখান থেকেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার সল্ট লেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে যেমন দেখা গেল, সকাল থেকে বসে মহারাষ্ট্র বনাম হায়দরাবাদের খেলা দেখছেন নমন ওঝা। আইপিএলে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের স্কাউট নমন। মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার রীতিমতো টিমলিস্ট ধরে ধরে মার্ক করছিলেন। নিজের পরিকল্পনা নিয়ে বেশি কিছু ভাঙতে চাইলেন না। শুধু বললেন, 'এই মাঠে আমি একা রয়েছি। ইডেনে কেউ আছে কি না, সেটা টিম ম্যানেজমেন্ট বলতে পারবে। আমরা সরাসরি টিম ম্যানেজমেন্টকেই রিপোর্ট করি।'

কেকেআরের হয়ে খেলা দেখছেন সঞ্জু স্যামসন-জেমাইমা রদ্রিগেজদের ব্যক্তিগত কোচ বিজু জর্জ। দিল্লি ক্যাপিটালসের তরফেও জেএসডব্লিউ গ্রুপের এক প্রতিনিধি প্রতিভার খোঁজে এসেছেন। গোপনে নিজেদের নোটবুক ভরিয়ে তুলছেন তাঁরা।

কিন্তু কোটি টাকার প্রশ্ন, অজিত আগরকর কোথায়?

সল্ট লেকের ব্য়বস্থা নিয়ে ক্ষোভ উত্তর প্রদেশ দলের

সল্ট লেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট দল। জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে তাদের ম্যাচের শেষে আগে থেকে বলে রাখা সত্ত্বেও আইসবাথের বন্দোবস্ত করতে পারেনি সিএবি। যা নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ দেখালেন উত্তর প্রদেশ দলের ম্যানেজার ও সাপোর্ট স্টাফেরা। কেন বারবার বলা সত্ত্বেও বরফের ব্যবস্থা করা যায়নি, জানতে চাওয়া হল। সিএবি থেকে এক কর্মী বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, বরফ আনা থাকলেও তা গলে গিয়েছে। তাতে উত্তর প্রদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট যে খুব একটা সন্তুষ্ট, একেবারেই মনে হল না। বরং একজন তো ই-মেল করে বোর্ডকে অভিযোগ করার হুঁশিয়ারিও দিলেন।