কলকাতা: সেরা চার তো নয়ই, এমনকী সেরা পাঁচের মধ্যে থাকার কথাও এখন ভাবছেন না ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত। তাঁর লক্ষ্য এখন ছ’নম্বর জায়গাটা। লিগ টেবলের সবচেয়ে নীচে থাকা হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে তাদের মাঠে নামার আগে এমনই জানিয়ে দিলেন তিনি। এই ম্যাচে যে চার বিদেশী-সহ দল নামাবেন, তাও জানিয়ে দিলেন। কারণ, টানা ছয় ম্যাচে জয়হীন থাকার পর এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া লাল-হলুদ বাহিনী। 


মাত্র ১২ পয়েন্ট নিয়ে কুয়াদ্রাতের দল এখন লিগ টেবলের দশ নম্বরে। ১৩ ম্যাচে এই ১২ পয়েন্ট অর্জন করেছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। ছ’নম্বরে থাকা জামশেদপুর এফসি-র সঙ্গে তাদের পাঁচ পয়েন্টের ফারাক এবং ক্লেটন সিলভারা যেখানে ১৩টি ম্যাচ খেলেছে, সেখানে ইস্পাতনগরীর দলের ১৬টি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে ইস্টবেঙ্গল সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে। আসন্ন ম্যাচগুলিতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে তারা ছ’নম্বরে থেকে লিগ শেষ করতে পারে। তাই বাস্তববাদী কার্লস কুয়াদ্রাতের নজর এখন ওই জায়গাটাতেই আটকে।  


হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ''জানুয়ারিতে আমরা বহু বছর বাদে একটা সাফল্য পাই। কিন্তু তার পর থেকে হঠাৎ সব কিছু বদলে গেল। এখন আমাদের মূল জায়গায় ফিরে যেতে হবে এবং লিগের শেষ ন’টি ম্যাচের জন্য নিজেদের সঠিক প্রস্তুতি নিতে হবে। যাতে আমরা আরও পয়েন্ট পাই এবং ছ’নম্বর জায়গাটা পাকা করতে পারি। জানি, ওই জায়গাটার জন্য ছ’টা দল লড়াই করছে। তবে আমাদের এখন এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই।'' 


কিন্তু প্লে অফে পৌঁছতে গেলে আর কত পয়েন্ট প্রয়োজন, সেই হিসাব এখনও করে উঠতে পারেননি ইস্টবেঙ্গলের কোচ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাই না। তবে অমীমাংসিত ম্যাচগুলোই ফারাক গড়ে দেবে। এখন আমাদের প্রত্যেকের কাছেই প্রতিটি ম্যাচ ফাইনালের মতো। পাঞ্জাব পরপর দুটো ম্যাচ জিতে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। জামশেদপুরও হঠাৎ দুটো ম্যাচ জিতে সেরা ছয়ে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এখন প্রতিটি ম্যাচেই খুব চাপ থাকবে। এখন কারা বেশি ম্যাচ জিতবে এবং ভাল গোল পার্থক্য বজায় রাখতে পারবে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর ওপরই সব কিছু নির্ভর করবে।'' 


আর ন’টি ম্যাচ বাকি রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। এগুলির মধ্যে তাদের প্রতিপক্ষ জামশেদপুর এফসি, ওডিশা এফসি, এফসি গোয়া, কেরালা ব্লাস্টার্স এবং মোহনবাগান এসজি-র মতো সেরা ছয়ে থাকা দল। এই দলগুলির বিরুদ্ধে নেমে পয়েন্ট আদায় করা যে মোটেই সোজা হবে না, তা ভাল করেই জানেন কুয়াদ্রাত।                                                                                                                                    তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল মিডিয়া