কলকাতা: শুরুতেই গোল খেয়েও যে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন তাঁরা, সেই বিশ্বাস ছিল বলেই শেষ পর্যন্ত নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচটা জিতে মাঠ ছাড়তে পেরেছেন তাঁর দলের ছেলেরা, এমনই মনে করেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস।


শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-কে ৪-২ গোলে হারানোর পরে স্প্যানিশ কোচ সাংবাদিকদের বলেন, “আজকের জয়ে দলের ছেলেদের শক্তি, দায়বদ্ধতা ও মানসিকতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই মুহূর্তে আমাদের দলটা দুর্দান্ত জায়গায় রয়েছে বলেই আমার বিশ্বাস”।


শনিবার সন্ধ্যায় ছ’মিনিটের মাথায় টমি জুরিকের পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলে এগিয়ে যায় নর্থইস্ট ইউনাইটেড। এই ধাক্কা সামলে প্রথমার্ধের বাড়তি সময়ে চার মিনিটের মধ্যে পরপর দু’টি গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন লিস্টন কোলাসো ও জেসন কামিংস। বিরতির পর ফের পাঁচ মিনিটের মধ্যে গোল করে সমতা আনেন জুরিক। কিন্তু এর তিন মিনিট পরে আবার ব্যবধান তৈরি করেন দিমিত্রিয়স পেট্রাটস ও ৫৭ মিনিটের মাথায় সেই ব্যবধান আরও বাড়ান সহাল আব্দুল সামাদ।


শুরুতে গোল খাওয়ার ধাক্কা সামলানো যে বেশ কঠিন ছিল, তা স্বীকার করে নিয়ে হাবাস এ দিন বলেন, ''প্রথম গোল খাওয়ার পরে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের হাতে অনেক সময় ছিল। যদিও শুরুতেই এমন একটা ধাক্কা সামলানো কঠিন। কিন্তু আমাদের দল যথেষ্ট শক্তিশালী। নিজেদের ভাবনা-চিন্তার ওপর যথেষ্ট আস্থা আছে আমাদের খেলোয়াড়দের। সেই জন্যই পরে আর কোনও সমস্যা হয়নি।''


এই জয়ের ফলে ১৪ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের তিন নম্বরে উঠে এল তারা। পিছনে ফেলে দিল এফসি গোয়াকে। এ বার তাদের সামনে শুধু ওডিশা এফসি, ১৫ ম্যাচে যাদের সংগ্রহ ৩১ পয়েন্ট। নতুন বছরে টানা চারটি ম্যাচে অপরাজিত থাকার পরে (যার মধ্যে তিনটি জয়) তিনিই চলতি লিগে সবচেয়ে সুখী কোচ কি না, জানতে চাওয়ায় হাবাস বলেন, ''না, যখন ফাইনালে পৌঁছব, তখন নিজেকে সুখী মনে করব। এখন এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা আমার কাজের মধ্যেই পড়ে। জেতার পরে উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া বা হেরে গেলে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হওয়া কোনওটাই ভাল নয়। এর মধ্যে ভারসাম্য দরকার। এটাই আমার সিক্রেট।''


এ দিন ম্যাচের পাঁচ মিনিটের মাথায় বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢোকা জিথিন এমএসের ক্রস সামনে থেকে ব্লক করতে গিয়ে বলে হাত লাগিয়ে ফেলেন তরুণ সাইড ব্যাক দীপ্পেন্দু বিশ্বাস। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে দেরি করেননি রেফারি। এই পেনাল্টি থেকেই গোল পায় নর্থইস্ট। পরে অবশ্য যথেষ্ট ভাল পারফরম্যান্স দেখান দীপ্পেন্দু। তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে কোচ বলেন, ''দীপ্পেন্দু কম বয়সি খেলোয়াড়। ওকে প্রতি ম্যাচে ৯০ মিনিট খেলানো সম্ভব না। তা হলে ও সমস্যায় পড়তে পারবে। ওর পারফরম্যান্স ভাল। কিন্তু ওকে ভাল খেলে যেতে হবে।''