করাচি: জাতীয় দলের কোচ থাকাকালীন পাকিস্তান ক্রিকেটের ক্ষতি করেছেন ওয়াকার ইউনিস। প্রাক্তন ফাস্ট বোলারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনলেন উইকেটরক্ষক কামরান আকমল।


৫৩ টেস্ট ও ১৫৭ একদিনের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কামরানের দাবি, পাকিস্তান দলের হেড কোচ হিসেবে পুরোপুরি ব্যর্থ ওয়াকার। ২০১০-১১ এবং ২০১৪-১৬ – এই দু’দফায় পাক দলের কোচ নিযুক্ত ছিলেন ওয়াকার।


বুধবার, একটি পাক চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কামরান বলেন, কোচ হিসেবে ওয়াকারভাই সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তিনি পাকিস্তান ক্রিকেটের বিপুল ক্ষতি করেছেন। প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটারদের বসিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে তিনি জাতীয় দলকে দুই থেকে তিন বছর পিছিয়ে দিয়েছেন।


প্রসঙ্গত, এই প্রথম পাক দলের কোনও বর্তমান ক্রিকেটার খুল্লমখুল্লা প্রকাশ্যে ওয়াকারের সমালোচনা করলেন। ভারতে অনুষ্ঠিত গত টি-২০ বিশ্বকাপে পাক দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেন ওয়াকার।


কামরান বলেন, আমি জানি না কেন, কিন্তু দলের কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে ওনার (ওয়াকারের) বনিবনা হয় না। পাক ক্রিকেটকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, সেই সম্পর্কে ওনার কোনও ধারণাই নেই।


এপ্রসঙ্গে, কোচ ওয়াকারের অতীতের কয়েকটি সিদ্ধান্তের উদাহরণ তুলে ধরেন কামরান। বলেন, ২০১৫ বিশ্বকাপের সময় ইউনিস খানকে ওপেনিংয়ে পাঠানো থেকে শুরু করে সরফরাজ আহমেদকে টুর্নামেন্টের প্রথম দিকে না খেলানো-- এসব হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওয়াকার।


উইকেটরক্ষকের আরও অভিযোগ, কিছু ক্রিকেটারকে দলে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ দেননি ওয়াকার। বলেন, এশিয়া কাপের একটি ম্যাচে শতরান করা সত্ত্বেও পরের ম্যাচে উমর আকমলকে শাহিদ আফ্রিদির পরে নামানো হয়। কামরান বলেন, ক্রিকেটার হিসেবে দুর্দান্ত ওয়াকার। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু, কোচ হিসেবে তিনি পুরো ব্যর্থ। তিনি যোগ করেন, ওয়াকারের অধীনে খেলার তিনটি ফর্ম্যাটেই পাক ক্রিকেট দলের অবনমন ঘটে।


কামরান জানান, বব উলমার যখন কোচ ছিলেন, তিনি প্রত্যেক ক্রিকেটারদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেন। পাশাপাশি, প্রত্যেক ম্যাচের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতেন। অন্যদিকে, ওয়াকার স্রেফ কঠোর অনুশীলনের ওপরই জোর দিতেন। ক্রিকেটারদের দক্ষতা বা তার উন্নয়নের দিকে কোনও নজর দিতেন না।