নয়াদিল্লি: সুপার ১২ পর্ব শেষ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পরাজিত হলেও, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসাবে ভারতীয় দল সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করেছে। তবে তা সত্ত্বেও ভারতীয় দলের এক তারকা বোলারের পারফরম্যান্সে একেবারেই সন্তুষ্ট নন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেব (Kapil Dev)। কে সেই বোলার?


ভরসা দিতে ব্যর্থ


বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভারতীয় দলের একাধিক তারকা পারফর্ম করে দলকে জিতিয়েছেন। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারতের হয়ে সর্বাধিক তিন উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। তা সত্ত্বেও অশ্বিনের পারফরম্যান্স নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নন কপিল। কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেটার বলেন, 'এখনও পর্যন্ত অশ্বিনের পারফরম্যান্স আমায় খুব একটা ভরসা দিতে পারছে না। ও (জিম্বাবোয়ে ম্য়াচে) কয়েকটি উইকেট নিয়েছে বটে, তবে উইকেটগুলিতে ওর খুব একটা কৃতিত্ব ছিল না। ব্যাটাররা এমনসব শট খেলে আউট হয়েছে যে ওরও হয়তো এক-দুইটি উইকেট দাবি করতে লজ্জা লাগবে। উইকেট পেলে আত্মবিশ্বাস তো নিঃসন্দেহে বাড়ে। তবে আমরা যে অশ্বিনকে চিনি, এই গোটা বিশ্বকাপে সেই অশ্বিনকে দেখা যায়নি।'


চাহালের পক্ষে সওয়াল


গোটা বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত অশ্বিনই ভারতীয় দলের দ্বিতীয় স্পিনার হিসাবে সুযোগ পেয়েছেন। দলের তারকা স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল একটিও ম্য়াচ খেলেননি। কপিল চাহালকে খেলানোর পক্ষেও সওয়াল করেন। 'গোটা বিষয়টাই টিম ম্যানেজেমেন্টের ওপর নির্ভরশীল। ওদের যদি অশ্বিনের ওপর বিশ্বাস থাকে, তাহলে ভাল। ও এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সবকয়টি ম্যাচ খেলেছে, তাই প্রয়োজনে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে। তবে যদি প্রতিপক্ষকে চমকে দিতে হয়, তাহলে ভারত বরাবরই তাদের লেগ স্পিনারকে (যুজবেন্দ্র চাহাল) সুযোগ দিতে পারে। যে বোলার ম্য়ানেজমেন্ট তথা অধিনায়কের ভরসা জিততে পারবে, সেই ম্য়াচে খেলবে।' মত কপিল দেবের।


আইসিসির বিচারে বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। অস্ট্রেলিয়ায় চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও (T20 World Cup) স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন সূর্য। প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে নেমেই বর্তমানে বিশ্বকাপের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক সূর্য। কোন জাদুবলে বিশ্বকাপ এই সাফল্য সূর্যর? কী বললেন ভারতের তারকা ব্যাটার? 


সূর্যকুমারের দাবি তিনি অস্ট্রেলিয়ার গতিময় এবং বাউন্সসহায়ক পিচগুলিতে খেলতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ওয়াংখেড়ের পিচে ছোট থেকে খেলায় অজিভূমে তাঁর মানিয়ে নিতে কোনওরকম সমস্যা হয়নি বলেই জানান সূর্য। তিনি বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ায় এই প্রথমবার আমি খেলতে এসেছি। তাই সকলে আমায় জিজ্ঞেস করছেন যে আমি কীভাবে নিজের প্রস্তুতি সেরেছি। অস্ট্রেলিয়ার পিচে বাউন্স এবং গতি উভয়ই আছে এবং এখানকার মাঠগুলিও বেশ বড়। আমি ওয়াংখেড়েতে প্রুচুর ম্যাচ খেলেছি। ওই পিচে গতি ও উচ্চতা আছে। এই ধরনের পিচেই আমি ব্য়াট রকতে অভ্যস্তত। মাঠগুলি বড় হওয়ায় আমার ফাঁকা খুঁজতেই সুবিধা হয়।'


আরও পড়ুন: সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগেই কোহলি বন্দনায় স্টোকস