সন্দীপ সরকার, কলকাতা: সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে শনিবারের ম্যাচে তাঁর খেলার কথাই নয়। কারণ, টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে ব্যাট হাতে তিনি ভরসা দিলেও, হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। তাঁর পরিবর্তে ওপেনার হিসাবে সুযোগ দেওয়া হয় জেসন রয়কে। আর সুযোগ পেয়েই ইংরেজ তারকা সফল হন। পরপর দু'ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করে ওপেনিংয়ে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেন জেসন। আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে কেকেআরের জয়ের অন্যতম নায়কও তিনি।


কিন্তু পিঠের চোটে কাবু হয়ে পড়েন ইংরেজ তারকা। গুজরাত টাইটান্স (KKR vs GT) ম্যাচের ঠিক আগে। যে কারণে ফের দরজা খুলে যায় রহমনুল্লাহ গুরবাজের সামনে। যিনি হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট কাটিয়ে উঠেছিলেন। শুক্রবার পুরোদমে প্র্যাক্টিসও করেন।


আর দলে ফিরেই ফের বিধ্বংসী গুরবাজ। আফগান ক্রিকেটারই শনিবার কেকেআরের রক্ষাকর্তা হয়ে উদয় ঘটালেন। ইনিংস ওপেন করতে নেমে মাত্র ৩৯ বলে ৮১ রান। দুশোর ওপর স্ট্রাইক রেট। ৫টি চার। ৭টি ছক্কা। তাঁর সামনে স্বদেশীয় রশিদ খানও ম্লান। আফগান লেগস্পিনারকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা মনে করা হয়। গুরবাজ তাঁকে সাধারণের স্তরে নামিয়ে আনলেন। ৪ ওভারে ৫৪ রান খরচ করলেন রশিদ।


আরও পড়ুন: গুণের 'খনি', কিন্তু কখন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কমলা লেবু ?


একটা সময় মনে হচ্ছিল, সেঞ্চুরি করে হয়তো ক্ষান্ত হবেন গুরবাজ। কিন্তু আফগানিস্তানেরই এক ক্রিকেটারের কাছে হার মানেন। বাঁহাতি স্পিনার নূর আমেদের বল ডিপ মিড উইকেট বাউন্ডারিতে ফেলতে গিয়ে আরেক আফগান রশিদের হাতেই ধরা পড়েন গুরবাজ।


 




তিনি ফেরার পর শেষ দিকে ব্যাটে ঝড় তোলেন আন্দ্রে রাসেল। যিনি এদিনই ৩৫ বছর পূর্ণ করলেন। ব্যাট হাতে টুর্নামেন্টে কেকেআরের প্রথম ম্যাচে ১৯ বলে ৩৫ রান করেছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা। তারপর থেকে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুললেও, ব্যাট হাতে বলার মতো কিছু করতে পারেননি রাসেল। জন্মদিনে ১৯ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেললেন। ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরে। গুরবাজ ব্যাট করার সময় মনে হচ্ছিল, কেকেআর দুশো তুলবে। কিন্তু পরপর উইকেট হারিয়ে খেই হারায় নাইটরা। রাসেলের তাণ্ডবে ১৭৯/৭ স্কোরে শেষ করে কেকেআর। ম্যাচ জেতার জন্য গুজরাতের লক্ষ্য ১৮০ রানের। পারবেন শুভমন গিল-হার্দিক পাণ্ড্যরা? 


আরও পড়ুন: ছাত্রের খেলা দেখতে শিলিগুড়ি থেকে ইডেনে ঋদ্ধিমানের গুরু