সংবাদসংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাকলিন বলেছেন, ‘ব্যাটসম্যান হিসেবে সচিন খুবই বড়। আমি দুই প্রজন্মের মধ্যে তুলনা করতে পারব না। কিন্তু এখনকার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সচিনের কাছাকাছি একমাত্র কোহলিই’।
ইংল্যান্ড দলের স্পিন বিভাগের পরামর্শদাতা বলেছেন, ‘ট্রেন্টব্রিজে কোহলি কীভাবে খেলেছেন তা নিয়ে ইংল্যান্ড দলের সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে কথা হয়েছে। সিরিজের তৃতীয় টেস্টে জিমি অ্যান্ডারসন ৪০ বার আউট সাইড এজে কোহলিকে পরাস্ত করেছেন। কিন্তু পরের বলটাই কোহলি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেছেন। কোহলির লক্ষ্য থাকে পরের বলটা খেলা, একটার পর আর একটা রান করা। প্রতিটি সেশন অনুযায়ী কোহলি খেলেন। রান ও জয়ের প্রচণ্ড খিদে রয়েছে তাঁর। কারুর এমন খিদে থাকলে তিনি নিজেকে সন্তুষ্ট করতে যা খুশি তাই করতে পারেন’।
ট্রেন্টব্রিজে কোহলির প্রথম ইনিংসে ৯৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৩ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত সিরিজে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পাঁচের ম্যাচের সিরিজ এখন ২-১।
এবারের ইংল্যান্ড সফরে ২০১৪-র সফরের ব্যর্থতা ঢেকে দিয়েছেন কোহলি। ব্যাটিংয়ে এই সাফল্যের কারণেই সাকলিন তাঁকে সচিনের কাছাকাছি বলে আখ্যা দিয়েছেন।
সাকলিন বলেছেন, ‘কোহলি যেভাবে খেলছেন তা ইংল্যান্ডের পক্ষে বিপদসঙ্কেত। প্রথম টেস্টের সময় একটা সাইনবোর্ডে ‘ইংল্যান্ড বনাম কোহলি’ লেখা দেখেছিলাম। এখন ভারতীয় দল থেকে কোহলিকে সরিয়ে দেখলে বোঝা যাবে ইংল্যান্ডের কাজটা খুবই সহজ হবে’।
প্রাক্তন পাক স্পিনার বলেছেন, কোচিংয়ের দিক থেকে দেখলে বোঝা যাবে যে, কোহলির জন্যই তাঁর সঙ্গে ব্যাটিংয়ের সময় অন্য ব্যাটসম্যানরাও রান করছেন। কোহলির মতো বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান থাকলে তা সমগ্র ব্যাটিং লাইনআপকেই উজ্জীবিত করে।
বর্তমান ভারতীয় দলের পেস বোলিং অ্যাটাক নিয়েও প্রশংসা শোনা গিয়েছে সাকলিনের গলায়। গত ছয়টি টেস্টে ভারতীয় পেসাররা যেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের নাজেহাল করে ছেড়েছেন তা দেখে তিনি যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাকলিন। তিনি বলেছেন, পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যায়, ভারতীয় পেসাররা ইংল্যান্ডের পেসারদের তুলনায় অনেক বেশি জোরে বল করেছেন। এ রকম শেষ কবে হয়েছিল, তা তাঁর মনে পড়ছেন না বলে জানিয়েছেন সাকলিন। ভারতীয় বোলারদের যথার্থ ফাস্ট বোলার বলে মনে হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন সাকলিন।